নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবস পালনে নদীয়ার শান্তিপুরের সিপিএমের মধ্যে দেখা গেল গা-ছাড়া ভাব। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী, শান্তিপুর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুব্রত ঘোষ, শান্তিপুর সহ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বৃন্দাবন প্রামানিক এদিন অবশ্য রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্যোতি বসু কে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অথচ সকাল তো দূরের কথা, দলীয় একাধিক কর্মসূচি মিটিয়ে পার্টি অফিসে জ্যোতি বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে বেজে গেল বেলা একটা। কেন এমন ঢিলেমি,সে বিষয়ে অবশ্য সিপিএমের শান্তিপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সৌমেন মাহাতো জানিয়েছেন,’ দলের সদস্য সংগ্রহ সহ বেশকিছু কর্মসূচির দিন সকালের দিকে ছিল। আমাদের কমরেডরা সেই সব কর্মসূচি মিটিয়ে সকলে একসঙ্গে হয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও মহান নেতা জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবস পালন করেছি। সকলের কাজ মিটিয়ে আসতে একটু দেরি হয়েছে। জ্যোতি বসু মহান নেতা। তিনি পঞ্চায়েত ও পুর ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের পার্টি কমরেডরা কোন মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’ যদিও পার্টির বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইট থাকা সত্ত্বেও কেন সেখানেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে শ্রদ্ধা জানালেন উদ্যোগ নেওয়া হলো না, তার সঠিক উত্তর মেলেনি। যদিও শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী অবশ্য বলেছেন,’ ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের জ্যোতি বসু একজন গৌরবময় ব্যক্তিত্ব। তাকে শ্রদ্ধা জানালো সকলের কর্তব্য। বিধানসভায় প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তিনি জীবিত না থাকা সত্বেও তার সংস্পর্শ উপলব্ধি করেছি। তিনি শুধু রাজ্যের নয় ভারতবর্ষের একজন দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টির লোকজন তার সঠিক মূল্যায়ন করেননি। করলে তিনি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। সে কথা তিনি নিজেই ঐতিহাসিক ভুল বলে জানিয়েছিলেন। তাই এমন একজন মানুষকে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি সৌভাগ্য বোধ করছি। তৃণমূল কংগ্রেস আগাগোড়াই গুণী মানুষদের সম্মান দিয়ে থাকে।’
সিপিআইএম শান্তিপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সঞ্জিত ঘোষ, জানান আগামী 8 ই জুলাই জ্যোতিবাবুর জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে। তবে আজ মাল্যদান ব্যতীত অন্য কোন অনুষ্ঠান নেই বলেই জানান তিনি ।জ্যোতিবাবুর স্মরণে এবং স্মৃতিকথা তার সুদক্ষ প্রশাসনিক কর্মদক্ষতা ব্যক্তিগত জীবনে তার পড়াশোনা এবং জীবনশৈলী নিয়ে আলোচনা কেনই বা হলো না, এ নিয়ে বিষন্ন নিচু তলার কর্মী-সমর্থকরা।