সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রান্তিক গ্রাম বিরাজনগর।মঙ্গলবার সেখানেই একটি মাটির ঘরে শুরু হল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাঠশালা।বজবজ প্রত্যাশা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি উদ্যোগে মাটির দেওয়াল, খড়ের ছাউনি তে তৈরি হয় পাঠশালা।বর্তমানে যখন ডিজিটাল ভারত,ডিজিটাল বাংলায় পাকা স্কুলে এবং অনলাইনে পঠন পাঠনে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় প্রচীন প্রথা ছোঁয়া এই ডিজিটাল সময়ে উঠে এল প্রত্যন্ত সুন্দরবনের এই বালি দ্বীপে। বর্তমানে ৩০ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে শুরু হল পাঠশালায়।প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীরা তফশিলি সম্প্রদায়ের ভুক্ত।প্রান্তিক এই এলাকায় পাঠশালা টি চালু হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষজন।এমনকি স্থানীয় বাসিন্দা নীলিমা মন্ডল এগিয়ে এসে পাঠশালার জন্য জমি দান করেন।কারণ তিনিও চান তাঁর এলাকার পিছিয়ে পড়া তফশিলি সম্প্রদায়ের মানুষজন শিক্ষার আলোতে আলোকিত হয়ে উঠুক।আর তার এই অবদানে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন।এদিন বজবজ প্রত্যাশার পক্ষ থেকে ছাত্র ছাত্রীদের হাতে পঠন পাঠনের সব ধরনের সরঞ্জাম তুলে দেয়।তবে কোভিড বিধির নিয়ম কানুন মেনেই এদিন শুভ সূচনা হয় প্রত্যাশা পাঠশালা।