নদিয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- আম বাগানের একের পর এক গাছ কেটে তৈরি করা হচ্ছে প্লট। বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বাগানের জমি। সেখানে এক এক করে গজিয়ে উঠছে কংক্রিটের বসতবাড়ি। রীতিমতন লাইট জ্বেলে রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে বাগান সাফাই করে দিচ্ছে গাছ মাফিয়া থেকে জমি মাফিয়ারা। সব জেনেও নিশ্চুপ প্রশাসন। বলছেন লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখবেন।একদিকে সরকারের তরফ থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে মানুষকে সচেতন করা হয়, সবুজ বাঁচান গাছ ধ্বংস না করে গাছ লাগান আর অন্যদিকে রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে কয়েক কোটি টাকার সবুজ ধ্বংস। বৃহৎ বাগানের পুরাতন গাছ থেকে নতুন গাছ কেটে সাফাই করে দিচ্ছে মাফিয়ারা। জমি প্লট করে বিক্রি করে দিচ্ছে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। একশ্রেণীর প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে সবুজ ধ্বংসের খেলায় মেতেছেন মাফিয়া রাজ অভিযোগ স্থানীয়দের। নদীয়ার শান্তিপুর থানার 3 নাম্বার রেলগেট সংলগ্ন বালাপুকুর এলাকার একটি প্রায় পনেরো বিঘা জমিতে আমবাগান রাতারাতি কেটে ফেলা হচ্ছে। কিছুটা দূরে রয়েছে শান্তিপুর থানা। প্রশ্ন উঠছে কিভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চলছে এই সবুজ ধ্বংসের চোরাচালান? পৌরসভা এলাকায় ওই আমবাগান থাকা সত্ত্বেও শান্তিপুরের প্রশাসকরা তৎপর নয় এই সবুজ ধ্বংসের বিরুদ্ধে। অথচ সাধারণ মানুষের করের টাকায় মানুষকে সচেতন করতে রাস্তায় নেমে সবুজ ধ্বংসের বিরুদ্ধে প্রচার করেন এরাই।এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা এই চক্রের ভয়ে আতঙ্কে কিছুই বলতে রাজি নয় তারা। অনেকটা সময় পার হলেও, অবশেষে হাজির হলেন বনদপ্তর, খতিয়ে দেখলেন গোটা বিষয়। সচেতন নাগরিক এর প্রশ্ন, আদৌ কি কোন সুরাহা হবে সবুজ রক্ষার? নাকি লোকদেখানো পর্যবেক্ষণই সার? জমি এবং বাগান মাফিয়াদের অর্থ এবং পেশী শক্তির ভয়ে অনেকেই ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও অতীতে বাগচীর বাগান, চিন্তা গোঁসাইয়ের বাগান সহ সাতটিরও বেশি বড় বাগান কেটে বসতি গড়ে উঠেছে। কমছে সবুজের অংশ।