নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতাদের :- ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে 18 জন বিশেষভাবে সক্ষম ক্রিকেট প্লেয়ার নদীয়ার শান্তিপুরে একত্রিত হয়েছিলেন আগামী 21 থেকে 23 শে জানুয়ারি ঢাকার কুমিল্লা শহরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে। আজ শান্তিপুর সবুজ সংঘ ক্লাব তাদের নিজস্ব মাঠে একটি অনুশীলন এবং প্রদর্শনী ম্যাচ আয়োজন করেছিলেন এই উপলক্ষে।
বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারে আসার সুবাদে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী পৌঁছালেন তাদের অতিথির নিবাসে।ভিন রাজ্যের বেশিরভাগ খেলোয়াড় থাকলেও, বেঙ্গল দিব্যাঙ্গ ওয়ারিয়রস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানাতে শেষ মুহূর্তে বিধায়ক উপস্থিত হলেন একেবারে শেষ মুহূর্তে। খোঁজখবর নিলেন তাদের শারীরিক আর্থিক এবং যাতায়াতের কোনো অসুবিধা আছে কিনা সে বিষয়ে। আগামীদিনের শান্তিপুরে ধরনের ক্রিকেট আয়োজন এর বিষয়ে আলোচনা হলো এক প্রস্থ।
প্রত্যেক রাজ্যের প্রতিনিধির সাথে আলাপ চারিতার মাঝে ভুললেন না রাজনীতিও। সে রাজ্যে সর্বভারতীয় তৃণমূল দল এবং মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কি ধারণা সে প্রসঙ্গে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন তিনি। পরিশেষে সাংবাদিকদের জানালেন, বাংলার রাজনীতিতে বিজেপি কে পরাস্ত করতে পারলে, ভারতের ক্রিকেট দল বাংলাদেশকে পরাজিত করা কোন ব্যাপার নয়। সমগ্র দলের পক্ষ থেকে ক্যাপ্টেন অভিজিৎ বিশ্বাস কে উত্তরীয় এবং পুষ্পস্তবক দিয়ে অনুপ্রাণিত করেন তিনি, বিশ্বাস এবং ভরসা দিয়ে বলেন শান্তিপুরের পূণ্য মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশ গমন , আমরা করব জয় নিশ্চয়।
অন্যদিকে ক্রিকেট সংগঠনের পক্ষ থেকে, অতর্কিত বিধায়কের আগমনে আপ্লুত হয়ে তারা বলেন, জয়ের বিষয়ে আশাবাদী থাকলেও বিধায়কের শুভেচ্ছা একশো শতাংশ নিশ্চিত করলো। শুধু আজ নয় আগামীতেও ভারতীয় এই ক্রিকেট দল চলবে বিধায়কের পরামর্শেই।
আজ সকালে শান্তিপুর থেকে বনগাঁ লোকাল ট্রেন ধরে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার প্রাক মুহূর্তে শান্তিপুরের বিশেষভাবে সক্ষম দের সংস্থা, শান্তিপুর পৌরসভার প্রতিনিধি এবং শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশন আরপিএফ আইসি সহ বহু শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের সংবর্ধনা জানাতে পৌঁছান স্টেশনে।