পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- একেই পাট্টার জায়গা,তারউপর জনবহুল এলাকা সেখানে শ্মশান চুল্লী করাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা গোটা এলাকায়,এমনই এক ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বান্দিপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা গ্রামে।জানাযায়,কদমতলা গ্রামের কার্তিক চন্দ্র বেরা নামের ব্যক্তি সরকারি জায়গা পাট্টা পায়,কার্তিকবাবু মারা যান।বর্তমানে তার তিন ছেলে রয়েছেন।আপত্তি দেওয়া সত্বেও পাট্টা পাওয়া জায়গায় শ্মশান চুল্লী তৈরি করাকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয় কদমতলা গ্রামে।পাশাপাশি জনবহুল এলাকা হওয়ায় ওই জায়গায় শ্মশান চুল্লী তৈরিতে আপত্তি জানায় গ্রামবাসীরাও।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অজিত পাল ও শাসকদলের লোকজন ঝান্ডা হাতে জোর করে ওই জায়গায় শ্মশান চুল্লীর জন্য মাটি খুঁড়তে গেলে বাধা দেয় পাট্টা পাওয়া ব্যক্তির ছেলেরা এবং গ্রামবাসীরা।আর এতেই প্রথমে বচসা এবং তা থেকেই শুরু হয়ে যায় তাণ্ডব, লাঠালাঠি থেকে হাতাহাতি ।
তৃণমূল নেতা দের সাথে গ্রামের কিছু বাসিন্দাদের।পাট্টাদারের ছেলে খোকন বেরা ও গ্রামবাসীদের অভিযোগ,এর আগে বহুবার আপত্তি দেওয়া হয়েছে কিন্তু এদিন জোর করে শ্মশান চুল্লীর কাজ শুরু হয়।তাতে বাধা দিতে গেলে পঞ্চায়েত সদস্য অজিত পালের নেতৃত্বে শাসকদলের লোকজন দলীয় ঝান্ডা হাতে পাট্টাদার ও গ্রামবাসীদের মারধর করে বাইরে থেকে লোক এনে।ঘটনায় গ্রামের বেশকয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানাযায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।যদিও এপ্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অজিত পাল জানান,সরকারি ভাবেই প্রশাসনের তত্বাবধানে ওই জায়গায় শ্মশান চুল্লী তৈরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।পাট্টাদাররা আপত্তি জানালেও এতে গ্রামের কিছু মানুষ অহেতুক বাধা দেয়।পঞ্চায়েত সদস্যর দাবি,ওই জায়গায় এর আগেও মৃতদেহ দাহ করা হয়েছে,সেই জায়গায় নতুন করে শ্মশান চুল্লী তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এতে জোর করে কিছু করা হয়নি।”এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তুলছে আপত্তি দেওয়া সত্বেও কেনো শাসকদলের ঝান্ডা নিয়ে সরকারি কাজে বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে হস্তক্ষেপ হবে।ঘটনায় চাপা উত্তেজনা চন্দ্রকোনার কদমতলা গ্রামে।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা একেই পাট্টার জায়গা তারউপর জনবহুল এলাকা সেখানে শ্মশান চুল্লী করাকে ঘিরে তুমুল...