এফআইআর হওয়ার পর তিন মাস পার হলেও অধরা বন্যা ত্রাণে দুর্নীতির ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান।

0
270

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা ;১৯জানুয়ারি: এফআইআর হওয়ার পর তিন মাস পার হলেও অধরা বন্যা ত্রাণে দুর্নীতির ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান। শাসকদলের ফেরার প্রধানকে ধরতে এক মাস আগে হুলিয়া জারি করেছিল আদালত। আদালতের নির্দেশ পুলিশ মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বাড়িতে নির্দেশ ঝুলিয়ে এসেছিল। প্রধানকে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। ধরা না দিলে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও প্রধান অধরা থাকায় এবার ফেরার প্রধানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করল পুলিশ। বুধবার ফেরার প্রধানের বাড়ি থেকে ওয়াশিং মেশিন, টিভি, আলমারি ও কিছু মূল্যবান সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি তার কোথায় কি কি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তার খোঁজখবর শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, বাড়িতে, লাগোয়া বিহার ও একাধিক জায়গায় হানা দিলেও প্রধানের খোঁজ মেলেনি। বিষয়টি আমরা আদালতে জানাই। আদালতের নির্দেশ মেনেই আমরা কাজ করছি।

জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মহকুমা জুড়ে ভয়াবহ বন্যা হয়। বরুই গ্রাম পঞ্চায়ে্ত ক্ষতিগ্রস্থ হন ৭৩৯৪ জন। কিন্তু তালিকায় নাম থাকলেও তারা টাকা পাননি বলে দুর্গতদের অনেকেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। দুর্গতদের টাকা ভুয়ো একাউন্ট খুলে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তদন্তে নেমে জানতে পারে প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসন পদক্ষেপ করছে না বলে আদালতে মামলা করেন পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তদন্তে নেমে ৭৬ লক্ষ লুঠের বিষয়টি সামনে আসতেই প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন বিডিও। পরে একই অভিযোগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস, কংগ্রেসের বিরোধী দলনেত্রী(বর্তমানে তিনি তৃণমূলে) সুজাতা সাহা, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রৌশনারা বিবি ও কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে প্রশাসন। এর মধ্যে সুজাতা জামিন পেয়েছেন। তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছিল বলে সুজাতা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন সভাপতি কোয়েল দাসও। দুর্নীতির ঘটনায় কোয়েলের নাম ছিল এক নম্বরে। তিন নম্বরে রয়েছেন রৌশনারা। রৌশনারার অবশ্য জামিন মেলেনি। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন জানিয়েও প্রশাসন সভাপতিতে বাঁচাতে সচেষ্ট কি না সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দল নেতা।