আবদুল হাই,বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের করিশুন্ডা অঞ্চলের গোবিন্দপুর গ্রামে হতভাগ্য বাসু রুইদাস ও ভাগ্যহীনা কাকুলি রুইদাসের দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মেয়ে শ্রাবণী রুইদাস যার বর্তমান বয়স ১২ বছর।
জন্মানোর পর থেকেই দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী।
উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতা নেই, উঠতে গেলেই বসে পরছে। আর দশটা বাচ্চার মতো চলাফেরা, দৌড়ঝাঁপ তার কাছে এবং তার বাবা-মার কাছে দুঃস্বপ্ন।
ভূমিহীন পরিবারের প্রধান বাসু রুইদাস- দু’বেলা দুমুঠো খাদ্যের সংস্থান করতেই দিবারাত্রি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চলেছেন , এমতাবস্থায় দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মেয়ের চিকিৎসার জন্য নিজের বলে যেটুকু ছিল সবই গেছে একে একে, এখন সম্পূর্ণ অর্থেই নিঃস্ব, তবুও এক বুক আশা নিয়ে ছুটে চলেছেন মেয়েকে নিয়ে এই ডাক্তার সেই ডাক্তারের কাছে । তিনি স্বপ্ন দেখেন একদিন না একদিন মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠে গলা জড়িয়ে ধরে বলবে এইতো বাবা আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি। অসহায় পরিবার তবুও সেই দিনটার জন্যই দাঁতে দাঁত চেপে চালিয়ে যাচ্ছেন লড়াই।
এখনো পর্যন্ত অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে ছুটেছেন বহু ডাক্তারের কাছে, খরচও করেছেন যেটুকু পুঁজি ছিল সবই কিন্তু কোন ডাক্তারবাবুই আশার আলো দেখাতে পারেননি মেয়ের সুস্থতার ব্যাপারে।
দিন যতই যায় ততই তিলে তিলে ক্ষয়ে যায় অসুস্থ শ্রাবণী রুইদাস এর শরীর। মেয়ের দিকে তাকিয়ে বাবা মার চোখে ঝরে যায় অনন্ত জলের ধারা। বর্তমানে নিজের খাবারটুকু নিজে ভালো করে খেতে পারে না শ্রাবণী রুইদাস, মা-ঠাকুমা তাকে পরম যত্নে কোনরকমে খাওয়ান।
কোন ডাক্তারবাবু শ্রাবনীর সুস্থতার ব্যাপারে আশার আলো দেখাতে পারেননি তবুও বাবা-মার মনতো মানেনা, তাঁরা চান আর সকলের মতোই তাদের কন্যা সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে হাসিতে খুশিতে ভরিয়ে তুলুক ঘর, চেষ্টা তাই জারি আছে নুন আনতে পান্তা শেষ হয়ে যাবার মতো পরিস্থিতি সম্পন্ন পরিবারে। কিন্তু সংসার যে অচল, কোথা থেকে আসবে অর্থ!
দৈনিন্দ পরিবারের অভাব যখন নিত্যসঙ্গী তখন কন্যার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়াটা দিন দিন অসম্ভব হয়ে পড়েছে, এখন অর্থের অভাবে নিজেদের চোখের সামনে তিলে তিলে মেয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আর এটা দেখেই বুক ভেঙে যাচ্ছে বাবা-মার।
মৃত্যুপথযাত্রী শ্রাবণী রুইদাস কে সুস্থ করে তুলতে গেলে চাই আন্তরিকতার সঙ্গে আর্থিক জোগান ও সহযোগিতা।বাবা মায়ের তাই কাতর আবেদন সবার কাছে একটু পাশে দাঁড়ান আমার হতভাগ্য কন্যার পাশে।