নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর:- একদিকে যখন হারিয়ে যাওয়া পেংবা মাছ নিয়ে উদ্বিগ্ন মনিপুর তখন এই রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পেংবা মাছের চাষের প্রসার বেড়েই চলেছে। মনিপুরের রাজ্য মাছ সুস্বাদু পেংবার চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে ।হলদিয়া ব্লকের হাত ধরে রাজ্যে প্রথম পরিচয় পায় পেংবা মাছের। মাছের হ্যাচারী মালিকরা ভিড় জমিয়েছে হলদিয়ার পেংবা মাছের খামার গুলিতে। নৈহাটীর ভৌমিক হ্যাচারী হলদিয়া ব্লকের মৎস্য খামার থেকে প্রজননক্ষম পেংবা বা ব্রূডার মাছ সংগ্রহ করতে আসেন। হ্যাচারী মালিক জানান, সারা রাজ্যে পেংবা মাছের চাহিদা বাড়ায় আমরা পেংবা মাছের ব্রীডিং শুরু করেছি। পেংবা মাছ কেবল আমাদের দেশের মনিপুর রাজ্যের লোকটাক হ্রদ ও তার নদীতে পাওয়া যায়। লোকটাক হ্রদ ভারতের মনিপুর রাজ্যের একটি হ্রদ। যা উত্তর পূর্ব্ব ভারতের সর্ববৃহৎ মিষ্টি জলের হ্রদ ৷ হ্রদটি হল পেংবা মাছের প্রজনন ক্ষেত্র, কিন্তু ইথাই ব্যারেজের দ্বারা এর অভিবাসন পথের বাধার কারণে পেংবা অবলুপ্তির পথে। মণিপুরের বিভিন্ন নদী ও লোকতাল লেক ছাড়া চিনের নদনদী ও হ্রদে, মায়ানমারের চীন্দুইন নদীতে এই পেংবা মাছ পাওয়া যায়। তবে মণিপুরের মানুষদের কাছে এই মাছ ‘পেংবা” পরিচিত হলেও চিনে নাম ‘নাগা-হপ-আউং’ বা ’নাগা নেট হুয়া’। এই মাছের বিজ্ঞান সম্মত নাম ‘অস্টিওব্রামা বেলাঙ্গিরি’। মনিপুরে নিংঙোল চাকৌবা লোকউৎসবে পেংবা মেলারও আয়োজন করা হয় ।
হলদিয়ার মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, রুই , কাতলার সাথে মিশ্রভাবে পেংবা মাছের চাষ খুব লাভজনক। পেংবা শাকাহারি মাছ বাড়ির পুকুরের সবুজ আগাছা খেয়ে বেড়ে ওঠে। তাই খুব সহজেই পেংবা মাছের চাষ করা যায়।
হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত হাজরা বলেন, মাছ চাষে হলদিয়া অন্যন্য নজির আমরা মাছ চাষির উন্নয়নে প্রতিনিয়ত লেগে আছি। মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল মাজি বলেন, হলদিয়ার মহিলারাও মাছ চাষে এগিয়ে রয়েছে।