দিনহাটায় দলীয় নির্দেশ অমান্য করে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা।

0
377

মনিরুল হক, কোচবিহার: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। দলের নির্দেশ অমান্য করে দিনহাটা ১ নং ব্লকে বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা। এদিন ওই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন ৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য। মঙ্গলবার দিনহাটা ১ নং ব্লকের বিডিও মদন মোহন মূর্মুর সাথে দেখা করে বিক্ষুব্ধ ৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত্র দাবি পেশ করেন। ব্লকের আধিকারিকের সাথে দেখা করে বেরিয়ে আসার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যান ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান।
এদিন বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রতিনিধি আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বলেন,’ প্রধান দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই এদিন ৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে। প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে তিনি জানান ‘।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট এই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ১৪ জন। প্রধান বিউটি বর্মন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার অনুগামী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দিনহাটা ১ নং ব্লক সভাপতি সঞ্জয় কুমার বর্মনের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ৭ পঞ্চায়েত সদস্য। এদিকে এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিউটি বর্মন বলেন, ‘ আমি জানিনা। এখনো সরকারিভাবে কোন চিঠি পাইনি। আমি কারো অনুগামী নই আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী ‘।
এবিষয়ে দিনহাটা ১ নং ব্লকের বিডিও মদন মোহন মুর্মু বলেন, ‘ অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়েছে আইন অনুযায়ী কাজ করা হবে ‘।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন,’ বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবো। যদি এরকম অনাস্থা নিয়ে আসা তাহলে দুই পক্ষ কে ডেকে সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করব’।
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষে কোচবিহারে সাংবাদিক সম্মেলন করে অনাস্থা নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। সেই বার্তা কে কার্যত অগ্রাহ্য করেই আরো একবার দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তৃণমূলেরই বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েতরা। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এলো।