নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পতপত করে পতাকা ওড়া দেখে শান্তি পাচ্ছেন মনে। গতকাল প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন হাওয়া না থাকায় পতাকা ওড়েনি, মনকষ্ট দূর করতে সারারাত অন্ধকার ছাদে থাকার পর আজ সকাল থেকে পতাকা ওড়া দেখে আনন্দ পাচ্ছেন তিনি। চোখের এবং মনের শান্তি মিটলে তবেই নামাবেন পতাকা এমনটাই জানালেন নদীয়ার শান্তিপুর হরিপুর এলাকার চঞ্চল সরকার। প্রজাতন্ত্র দিবস মিটে গেল তার গ্রিলের দোকানের উপরে তিনটি জাতীয় পতাকা এখনো উড়ছে। একই এলাকায় কয়েকটা বাড়ির ব্যবধানে উজ্জল হাওলাদারের মুদি দোকানের উপরেও একটি জাতীয় পতাকা গতকাল প্রজাতন্ত্র দিবসের রাত্রিবাস করার পর আজ 27 তারিখেও একইভাবে রয়েছে। যদিও তিনি ছেলের বায়নার দোহাই দিয়ে জানিয়েছেন আজ সন্ধের মধ্যেই নামিয়ে ফেলা হবে।
গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সাধারণ মানুষের। অনেকেই জানিয়েছেন কষ্ট অর্জিত স্বাধীনতা এখন আড়ম্বরতায় পরিণত হয়েছে। প্রশাসন উদাসীন থাকার কারণে বেনজির দৃষ্টান্ত ক্রমশই বাড়বে। জাতীয় পতাকা যে ছেলের বায়না হতে পারে না, তা বোঝার বোধবুদ্ধিও অনেকের নেই। জাতীয় পতাকার প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা থাকলে গ্রিলের দোকানের মাথায় কেনো সসম্মানে সিংহাসনে রাখা হোক দৃশ্য দূষণ না করে। সংখ্যায় কম হলেও একশ্রেনী অবশ্য এর পেছনে, রে রে করে ছুটে যাওয়ার মতন কিছু দেখছেন না। তাদের দাবি অন্য দেশের পতাকা তো নয় ভারতের জাতীয় পতাকা তারা যদি কোনো নাগরিক দেশভক্তির কারণে আবেগবশত হয়ে দু এক দিন রেখেই দেয় তাতে ক্ষতি কি? যদিও জাতীয় পতাকা উত্তোলন রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে একাধিক আইন রয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো থাকলে রাতেও জাতীয় পতাকা রাখা যায় এমন নানান তত্ত ও তথ্য নিয়ে সাধারণ মানুষের গুঞ্জন থাকলেও, চঞ্চল বাবুর একটাই কথা “পতাকা ওড়া দেখলে মনের শান্তি পাই”