দুঃস্থ শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে আড়াম্বরহীন জন্মদিন পালন করলেন সমাজসেবক সিদ্দিক।

0
302

প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া : দুঃস্থ শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে আড়াম্বরহীন জন্মদিন পালন করলেন সমাজসেবক সিদ্দিক। নুলপুর এলাকার গরীব দুস্থ মানুষের সুখ-দুঃখের সাথি সর্বদায় কাছের সঙ্গী হিসেবে পরিচিতি মোহাম্মদ সিদ্দিক। বাবা মৃত শেখ আলিমুদ্দিন ছিলেন সমাজ সচেতন একজন স্কুল মাস্টার। বাবার হাতে হাতে খড়ি সমাজে কিছু করার তাগিদ । সেই তাগিদেই ডানপন্থী ভাবাবেগে সঙ্গে জড়িত । প্রথমে কংগ্রেস পরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা হিসাবে ধীরে ধীরে পরিচিতি। দেখতে দেখতে দীর্ঘ 35 বছর অতিক্রান্ত করল এই রাজনীতির আঙিনায় জানালেন সিদ্দিক বাবু । ৫১ তম জন্মদিনে স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে জীবনের ওঠানামা বাস্তবের চিত্রটা চোখের সামনে আয়না স্বরূপ ভেসে উঠল বর্ষিয়ান এই নেতার। শুধুই উপার্জন নয়, সেই উপার্জনের অর্থে গরিব দুঃখীর যদি চোখের জল মুছে যায় সেই চেষ্টা সদা তৎপর আলিমুদ্দিন সাহেবের দ্বিতীয় পুত্র । ১৯৯০ সালে স্নাতকোত্তর বাগনান কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ব্যবসার সহিত সমাজ সেবা ও রাজনীতিতে পাকাপাকিভাবে নেমে পড়লেন। ছাত্রাবস্থায় থেকে থেকে ডানপন্থী ভাবধারায় বিশ্বাসী । নলপুর, রঘুদেববাটি অঞ্চলে ১৯৯৩ এর আগে বামপন্থীদের একছত্র আধিপত্য ছিল । লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ১৯৯৩ সালে তৃণমূলের পঞ্চায়েত গঠনের মূল কান্ডারী এই মোহাম্মদ সিদ্দিক এমনই শোনা যায় তৃণমূল মহলে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুলে স্কুল পরিচালনা কমিটিতে তৃণমূলের ঝান্ডা প্রতিস্থাপন করার যার নাম সর্বপ্রথমে আসে তিনি এই সিদ্দিক। মার্জিত রুচি সম্পন্ন কথাবার্তায় মানুষের হৃদয়ে সর্বদাই বিচরণ করার একটা ঐশ্বরিক শক্তি আছে এই সিদ্দিকীর। এমনি ব্যক্তি দেখতে দেখতে ৫১ বছর জন্মদিন পালিত হলো তারই বাসভবনে । ছোট্ট শিশুদের শীতবস্ত্র প্রদান এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান এর মাধ্যমে উদযাপিত হলো জন্মদিন। দলীয় নেতৃত্ব এবং তার সর্বদায় কাছের সঙ্গী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিগণ উপস্থিতি ছিল তার জন্মদিনে । আরম্ভর হীন এই অনুষ্ঠানে শিশুদের হাসি এবং করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল শুভ জন্মদিন। তার অনুগামী এবং সকল ব্যক্তি এই জন্মদিনে দীর্ঘায়ু কামনা করলেন।