নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ-করোনা পরিস্থিতির জেরে প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ স্কুল। স্কুল খোলার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি উঠছে।একই দাবি নিয়ে সাগর থেকে পাহাড়ের উদ্দেশ্যে সাইকেল নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন সাইকেলিস্ট পাপ্পু রায়। পেশায় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকও।তবে কোনও বিরোধ বা আন্দোলন নয়,কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন অবিলম্বে খুলে দেওয়া হোক স্কুল। শিক্ষাঙ্গন আবারো মুখরিত হোক ছাত্র-ছাত্রীদের কলতানে।
এর আগে মানব পাচার নিয়ে ভারত-নেপাল সাইকেল ভ্রমণ করেছেন পাপ্পু রায়। কিন্তু এবারের প্রেক্ষিতটা আলাদা। এবার বেরিয়েছেন স্কুল খোলার আবেদন নিয়ে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বেগমপুর কলোনির বাসিন্দা পেশায় বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক পাপ্পু রায়। জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ ভোর ৪ টায় গঙ্গাসাগরে স্নান করে দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছে কিছু জামাকাপড়,কম্বল,তাঁবু, একটি ছোট্ট স্টোভ, চাল ডাল ফুটিয়ে নেওয়ার এর জন্য একটি হাঁড়ি। এই নিয়েই শুরু করেছেন পথ চলা। মাঝে কেটে গিয়েছে ৭ টি দিন।গতকাল রাতে মালদায় এসে পৌঁছেছেন ওই শিক্ষক।এদিন সকাল থেকে আবার শুরু হয়েছে পাঁচতলা। পড়ন্ত দুপুরে এসে পৌঁছেছেন গাজোলে। রাস্তায় চলতে গিয়ে অনেক সময় হাঁফিয়ে উঠছেন। যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিশ্রাম নিতে হয়েছে।সারাদিন সাইকেল চালিয়ে যেখানে রাত্রি হচ্ছে সেখানে কোন হোটেল, রেস্তোরাঁ বা যুব আবাস থাকলে রাত্রি যাপন করছেন।না পেলে ফাঁকা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রি যাপন করছেন তিনি। এরই মাঝে সঞ্চয় করছেন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা। রাস্তায় যাদের সাথে দেখা হচ্ছে তারা অনেকেই সহযোগিতা করেছেন।রাস্তায় চলতে দেখা হয়েছে অনেক পুলিশ অফিসারের সাথে তারাও নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। এভাবেই ৭ দিন পার করে অবশেষে এদিন মালদা হয়ে গাজোলের ১২ নং জাতীয় সড়ক ধরে এগিয়ে চলেছেন তিনি। দক্ষিণ দিনাজপুর এবং উত্তরদিনাজপুর বই আগামী ৭ দিনের মধ্যেই তিনি দার্জিলিংয়ে পৌঁছাবেন এমনটাই আশা করছেন পাপ্পু বাবু। গাজোল থেকে ১২ নং জাতীয় সড়ক ছেড়ে ৫১২ নং জাতীয় সড়ক ধরেন তিনি। গন্তব্য দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর।এরপর আবার উত্তর দিনাজপুরের ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। তিনি জানান আগামী ৭ দিনের মধ্যে দার্জিলিঙের বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি প্রভৃতি জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় সাইকেল নিয়ে পৌছে যাবেন। এর মধ্যে যদি স্কুল না খুলে তাহলে পুনরায় সাইকেলে করে আবার উত্তর থেকে দক্ষিনে পাড়ি দেবেন তিনি।
[