নদীয়া-শান্তিপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও পুত্রসন্তানকে আনতে গিয়ে বাড়িতে ফিরে হঠাৎ বমি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দু’দিনের মধ্যেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনাটি শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর অঞ্চলের মেথির ডাঙা বাদের পাড়া এলাকায়। পরিবারের দাবি দীপেন্দ্রনাথ মন্ডলের বিবাহ হয় পাশের একটি গ্রামে, তার শাশুড়ি মাঝেমধ্যেই তার স্ত্রী এবং পুত্র সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে যায়। শাশুড়ি তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেবে বলে জামাই দীপেন্দ্রনাথ মন্ডল কে চাপ সৃষ্টি করে। গত কয়েকদিন আগে একইভাবে দীপেন্দ্রনাথ মন্ডলের স্ত্রীকে এবং সাড়ে তিন বছরের পুত্রসন্তানকে নিয়ে চলে যায় শাশুড়ি। গত 26 তারিখ দীপেন্দ্র নাথ মন্ডল শ্বশুর বাড়িতে যাই স্ত্রী ও পুত্র সন্তানকে আনতে, রাত্রি ন’টা ত্রিশ নাগাদ বাড়িতে ফিরে হঠাৎই বমি শুরু করে দীপেন্দ্রনাথ। এরপর পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করে। এরপর চিকিৎসকেরা পরিবারকে জানাই দীপেন্দ্রনাথ বিষক্রিয়া কিছু খেয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা ছটা নাগাদ শান্তিপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর এই রহস্যর দানা বাঁধতে শুরু করে দীপেন্দ্রনাথ এর পরিবারে। জানা যায় মৃত যুবকের নাম দীপেন্দ্রনাথ মন্ডল বয়স আনুমানিক( 32) বছর। দীপেন্দ্রনাথ এর মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার এছাড়াও শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। পরিবারের দাবি তার শ্বশুর বাড়িতেই খাবারের মধ্যে কোনোকিছু বিষক্রিয়া মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে, না হলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়িতে ফিরেই কিভাবে বমি করে। দীপেন্দ্রনাথকে মাঝেমধ্যেই তার শাশুড়ি চাপ সৃষ্টি করত তার স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেবেন। তবে মানসিক অবসাদেই নিজে থেকেই বিষ খেয়েছে নৃপেন্দ্রনাথ নাকি শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে বিষক্রিয়া খাওয়ানো হয়েছে এই নিয়ে রহস্যর দানা বেঁধেছে দীপেন্দ্রনাথ এর পরিবারে। শনিবার মৃতদেহটি উদ্ধার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ এছাড়াও ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। যদিও দীপেন্দ্রনাথ এর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শান্তিপুর থানায় কোন রকম লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।