ময়নাগুড়িতে ভূতুড়ে কান্ড, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগির মাছের ঝোল খেয়েই ধরল ভূত।

0
541

জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- ট্রেন দুর্ঘটনার পর ভূতুড়ে কান্ড ময়নাগুড়িতে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের মাছ খেয়ে, ভূত ধরেছে গ্রামের সবিতা, শিউলি সহ আরও অনেক গৃহবধূর। সেকি কান্ড! কেউ ছুটছে ওঝার কছে, কেউ আবার পূজাও শুরু করেছে। ময়নাগুড়ির মৌয়ামারীতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের বগিতে পড়েছিল তাজা মাছ। আর তাতেই লোভ পড়েছিল গ্রামের কয়েকজনের। বেশ কয়েকদিন সেই মাছের ঝোল মহা-আনন্দে খেয়েছিল তারা। তার কয়েকদিন পরেই সাইড এফেক্ট শুরু। সেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগীর মাছ খেয়ে নাকি রেল দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের আত্মা কয়েকজন গ্রামবাসীর উপর ভর করেছে বলে দাবি। এমনকি সেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগির সামনে থেকে মৃত মানুষদের আত্মার আওয়াজও আসছে বলে দাবি গ্রামের কয়েকজনের। এই খবর শুনার পরেইতো ময়নাগুড়ি বিডিও শুভ্র নন্দীর মাথা ভোঁ-ভোঁ। “ভূত প্রেত বলতে কিছুই নেই, ও সব মনের ভুল” ছুটে চললেন ঘটনাস্থলে। এমনকি শনিবার রাত জেগে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগির সামনে কাটায়ে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে দেন, ভূত নেই, মনের ভুল। তিনি আরও বুঝিয়ে বলেন,
কারো অসুবিধা হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। গ্রামবাসীরা ছুটছে ওঝার কাছে। আর এই অবস্থায় ওঝা বাবুর ভার ভর্তি। ভূত তাড়ানোর নামে মানুষ ঠকানো ব্যবসা বেশ জমিয়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রশাসন ও কম নয়। সোমবার ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ঝুলন গোস্বামী কাছে খবর আসে, মাছ খেয়ে ভূত ধরেছে আর তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকজন। যেমনি ভাবা তেমনি কাজ। তিনি এম্বুলেন্স নিয়ে ছুটে গিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসার জন্য ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসলেন। এবং সেই এলাকায় মেডিকেল টিম পাঠিয়ে সচেতন করা হবে বলে তিনি জানান।