পেরিয়ে গেল কতকাল.. ধ্বংস হল কত সহস্র সভ্যতা।
লালসাৱ লালাতে, কামনাৱ শরীরে অঙ্কিত হলো.. অসভ্যতার থাবা!
রচিত হলো কত কষ্ট প্রেমের নষ্ট রানীর… গলিত নিশ্চুপ ইতিহাস!
অস্তিত্ব ভুলে নিমগ্ন হয়ে ডুবে ছিলাম, তুমি আমার প্রাণের চেয়েও প্রিয়.. কথাটির মিথ্যা সুখের প্রশান্ত মহাসাগরে।
সেদিনই ডুবেছিলাম আর মরে ছিলাম!
মিথ্যা সুখের প্রশান্ত মহাসাগরের সুখের কষ্টের, ভয়ংকর দুঃখের, নষ্ট রানির গলিত কষ্টের ছবি দেখেছি!
মিথ্যা সুখের বেঁচে থাকার কষ্টের, বীভৎস গলিত সে, রূপেৱ ছবি!
মিথ্যা সুখের প্রশান্ত মহাসাগরের ভিতরে ভিতরে, হিংসাৱ মিথ্যা ভালোবাসার ঢেউয়ের, ভয়ঙ্কর চোখের চাহুনিৱ চাবুকের কষাঘাতে, বারবার শিউরে উঠেছি..আবার ডুবেছি।
আবার ভেসে উঠেছি বেনারসি আর লছমীর সুখের ছবি দেখে।
মাতাল বেনারসি ঢুলুঢুলু চোখে,লছমীর হাত ধরে বলে, চল না আজ আমরা.. মহুয়া সোহাগী রাত কাটায়!
আহা সুখের ছবি, চোখের সামনে ভাসছে!
আজ ওদের সোহাগী মহুয়া রাত হবে!
মিথ্যা সুখের প্রশান্ত মহাসাগরের মহুয়া সোহাগী রাতের সুখের ভয়ংকর হিংস্র থাবায়, ক্ষতবিক্ষত রূপ লুকিয়েছি.. লাল গোলাপি গার্নিশিং করা মুখে।
আহা! মিথ্যা সুখের ভয়ংকর গার্নিশিং-এ ঢাকা গলিত
রুপের রানী!
সাজ পোশাক, কথার অলংকার, মিথ্যার অসহ্য ছলনার অহংকার।
মুখে রং, চোখে কাজল টানা আইশ্যাডো আর এক্সট্রা পাপড়ি।
নিজেকে নিজের কাছে অচেনা করেছি.. কালো চশমায় ডেকেছি চোখ!
বীভৎস মহুয়া সোহাগী রাতের রক্ত জমাট কালচে কালো ঠোঁট, চটকদারি খয়েরী রঙের লিপস্টিকে ডেকেছি, আর লছমীর গোলাপি ঠোঁটের সুখের ভুবন ভোলা হাসিৱ কাছে বারবার পুড়েছি.
আর পরাজিত হয়েছি।
বেনারসি লছমীর দিনশেষের ডাল-ভাতের বেহেশতী খাবারের রূপ দেখেছি।
আহা! বেহেশতি খাবার–
ভেবে ক্ষুধার্ত হয়েছি বহুবার।
হাত বাড়িয়েছি রাজকীয় মার্বেল পাথরের রকমারী রূপে সাজানো.. গার্নিশিং ঢাকা খাবারের দিকে।
বেহেশতি খাবার কোথায় ঢাকা পড়ে আছে, আজও খুঁজে পায়নি। তাই আজও ক্ষুধায় জ্বলছি!
প্রকৃতির বুক আজ ধুলোর আস্তরণে ঢাকা পড়ে আছে। অঝোর ধারায়,চোখের তারায় বৃষ্টি নামে।
মহাপ্লাবনের ভেসে যাকে, ধুলোয় ঢাকা প্রকৃতির বুক।
ভেঙে যাক চোখ ঢাকা কালো চশমা!
ধুয়ে-মুছে যাকে মেকি হাসিতে ঢাকা মুখের রং।
সূর্যের প্রখর রৌদ্র দহনে পুড়ে যাক, লম্পট ভ্রমরের পাখা!
পুড়ে যাক যাত্রাপালার, ঝলমলে চোখ ধাঁধানো.. লোক ঠকানো পোশাক।
ভেসে যাক দুধের মাছির.. সুখের ছবি।
উড়ে যাক স্বর্গ সুখের সৌরভ স্নাত,সংসার মন্দিরের.. সম্রাজ্ঞী পোড়ার গন্ধ!
সুরভির সুরভিত ঘ্রানে ভরে যাক সংসার মন্দির!
সংসার মন্দিরের দেয়ালে দেয়ালে প্রতিধ্বনিত হোক লচমির সুখের হাসির ঝংকার!
মহলের ভিতরে ছলনার সুতোয় বোনা, ঠকানোর মোড়কে মোড়া, প্রতারণার সিন্দুক উপচে পড়ুক.. লছিমীর সুখের হাসিৱ ঢেউয়ে!
রং তুলিতে আঁকা রঙে ঢাকা মোনালিসার জাদুর চোখের চাহনির.. অপ্রকাশিত রহস্য মাখা মুচকি হাসি.. ঢেকে যাক লছিমীর প্রকাশিত হাসির উচ্ছ্বাসে!
পৃথিবী নতুন হাততালিতে মুখরিত হোক আকাশ বাতাস!
সহস্রা আলোকবর্ষ সভ্যতাকে পৌঁছে দিকে নতুন বার্তা!
বেনারসি আর লছমীর সুখের প্রবন্ধ খানা… সংরক্ষিত হোক নতুন পৃথিবীর গ্রন্থ গ্রন্থ শালায়। ।