সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ ‘সি আই এফ ই’ এর।

0
648

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – প্রত্যন্ত সুন্দরবনের অধিকাংশ মানুষজন তপশিলী সম্প্রদায় ভুক্ত।এই সমস্ত মানুষজন মাছের উপর নির্ভশীল হয়েই জীবনজীবিকা নির্বাহ করেন। নিজের জলাশয়ে মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল।
কিন্তু সমস্তটা অবৈঞ্জানিক ভাবে হওয়ায় অনেক সময় মাছ চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েন।সেই ক্ষতি থেকে তাঁদের কে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।
সুন্দরবন এলাকার তপশিলী সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষজন যাতে করে প্রশিক্ষণ নিয়েই মাছ চাষ করে স্বনির্ভর হয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে তার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা শিক্ষা সংস্থান সংস্থা(সিআইএফএস)।
শুক্রবার সংস্থার কলকাতার কার্য্যালয়ে বিঞ্জান প্রযুক্তিতে মাছ চাষের এক প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়।শিবিরে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের ৫০ জন তপশীলি সম্প্রদায় ভুক্ত মাছ চাষী প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহন করেন।কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা শিক্ষা সংস্থান সংস্থা(সিআইএফএস)র বিশিষ্ট বিঞ্জানীরা চাষীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযুক্ত করে তোলেন।পাশাপাশি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মাছ চাষীদের হাতে আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করার জন্য বেশকিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং মাছের খাবার,ওষুধ তুলে দেওয়া হয় চাষীদের হাতে।এদিন প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিঞ্জানী ডঃ জি এইচ পৈলান, ডঃ গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, ডঃ এস দত্ত, ডঃ ডি কে সিং, ডঃ সুমন মান্না, বি কে বেহেরা,জি অরুনা দেবী, এস পান্ডে সহ অন্যান্যরা।
প্রশিক্ষণ শেষে সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন ‘আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করলে লাভবান হওয়া সহজ সেটা প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর জানতে পেরেছি।প্রশিক্ষণ না পেলে জানা সম্ভব হতো না।’
সংস্থার প্রধান বিঞ্জানী ডঃ গৌর হরি পৈলান বলেন ‘প্রত্যন্ত সুন্দরবনের তপশীলি সম্প্রদায়ভুক্ত মাছ চাষীরা যাতে করে প্রশিক্ষণ নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে লাভবান হয় তার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মাছ চাষীদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে চাষের প্রয়োজনীয় সামগ্রী,ওষুধ এবং মাছের খাবার বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে চাষীদের কে।’