মনিরুল হক, কোচবিহারঃ তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা। রবিবার দুপুরে কোচবিহার শহরের গোল বাগানসংলগ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা কার্যালয়ে সেখানে জেলা সভাপতি সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কোচবিহার পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মীসমর্থকরা।
আন্দোলনকারী তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দাবি, সদ্য বামফ্রন্ট ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী চন্দনা মোহন্ত। সেই প্রার্থীকে তারা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না কারণ তিনি সদ্য দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে লাগাতার হবে সেখানে আন্দোলন করে আসছেন সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা বলে জানা গেছে। আর সেই আন্দোলনের এবার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির কার্যালয়ের সামনে এসে পড়ল। সেখানে জেলা সভাপতি সহ অন্যান্যদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের কর্মীরা। এর ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সেখানে যেতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য কোচবিহার কোতোয়ালি থানা থেকে বিশাল পরিমাণ পুলিশ বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি অবিলম্বে চন্দনা মহন্ত কে পার্থী থেকে সরিয়ে সেই ওয়ার্ডের কাউকে প্রার্থী করতে হবে। সব মিলিয়ে কোচবিহার পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে এভাবে আন্দোলন চলছে প্রার্থী বদলের দাবিতে। শুধু কোচবিহার পৌর এলাকাতেই নয় দিনহাটা এবং মাথাভাঙ্গাতেও প্রার্থী নিয়ে চরম অসন্তোষ রয়েছে দলীয় কর্মীদের মধ্যে।
তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে গোটা ঘটনা দলের রাজ্য নেতৃত্ব কে জানানো হয়েছে তারা যা সিদ্ধান্ত নেবেন সে মোতাবেক কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, এগুলো সামরিক ক্ষোভ বিক্ষোভ। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন অর্থাৎ ৯ ই ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটার পর থেকে সেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ আর থাকবে না। সকলেই দলের মনোনীত প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমে পড়বেন বলেও তিনি দাবি করেন।
Home রাজ্য উত্তর বাংলা প্রার্থী পছন্দ নয়, কোচবিহারে জেলা সভাপতির কার্যালয় ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের।