বেহিসাবীর হাহাকার
তোমার শরীরের খাঁজে ত্রিকালের অন্ধকার।
অজানা অবোধ্য।
হাতড়ে মরি কিনু গোয়ালার কানাগলি
বাঁচবার চেষ্টা বারবার
বাঁধা নীড়ে বাঁধ ভাঙ্গার
বে -রোজগারী উচ্ছ্বাস।
মন খারাপের বেসুরো রেওয়াজ।
ঝড়ো হাওয়ায় রোদের বেপরোয়া হামাগুড়ি।
বাস চলেছে ধূপগুড়ি।
পাহাড়ী ন্যাড়া টিলার গায়ে ঘুম ভাঙ্গার দীর্ঘশ্বাস।
রক্ত কোষে রিরংসার উন্মাদনা।
তারার মিটমিটে আলোয়
অংক না মেলার হতাশা.
মনে হয় নিজেকে বন্দী শাজাহান
বা কিং লীয়র।
এ আরেক
ট্রাজেডির হিম যুগ।
আশাহত সাবধানতা|
তবুও মানে না মন,
মিঠে-কড়া বে-লাগাম একরাশ ভালোলাগা..
পাথুরে পান্হনিবাসের রেখে এসেছি ঠিকানা,
যার জানলায়
পাহাড়ী মাকড়সা আপনমনে জাল বোনে আজকাল।
অনেকটাই আমার মতো।
দরজার তালায় বড়ো সড়ো মন ভারের জমানো ধুলো,
চাবির মোচড়ে মৃদু ব্যাথার চিৎকার।
সে’ ও যেন আমার মনের এস্রাজের বেদনার মোচড়।
নগ্ন শরীরে এখনো দৌড়াদৌড়ি শেষ ইচ্ছার ,
যদি আসো শেষ বেলায়,
চাও যদি প্রায় জেতা বাজি
আবার ফিরিয়ে দিতে আমায়,
ভালোবাসার জুয়াড়ির ভুলে হয়তো ভেসে যাবে
দুঃসময়
মুছে যাবে দুঃসহ দুঃস্বপ্নের রাত.
বেশ খানিকটা দেরি হলো কি তোমার?
তা বেশ হোক না,
আমি তো এখন অনেক দিনের পড়ে থাকা এক এলোমেলো পাশার দান,
সব ঠিক হতে কিছুটা সময় তো লাগবেই।