মৃত্যু কতজনকেই এভাবে সঙ্গীহীন নিয়ে গেছে শুণ্য পরগনার দিকে হাতে রাখা কার্বন মনোক্সাইড ইউনিফর্ম বেশ বীজগাণিতিক আগুনে ডোবানো শূণ্য মোলার দ্রবণ
এই নিরাময় করিডোরে দাঁড়িয়ে সকলেই কঙ্কালের মতো মনে হয় , পদ্মগোখরে নিম্নাঙ্গ বিছানার পাশে ঘোড়া আর ময়ূরের পান্থপাদপ চারার অঙ্গজ জনন নির্ণয় করছে যৌগিক রাশিমালা দিয়ে
হাতে থাকা চিরায়ত ট্রাপিজিয়ামের সমান্তরাল বাহু মৃত ছায়ার পাশে কেউ আর আত্মীয় নয় মায়ের মতো
শ্রাবণ কুমারের মতো সামন্তরিকে ডুবানো বিলীয়মান লোরাজিপাম অন্ধ দুটো চোখ নিয়ে আমরা সমান্তরাল মাঠ বরাবর হেঁটে গেলাম এক ঝাঁক আগুনের দিকে , শ্মশান একটি এলাচ ফুলের স্বমেহনের নাম
সকলেই এই স্থিমিত গোধূলি বেলার মৃত্যুর কাছে প্রণাম সেরে উঠে আসলাম কল্পনীয় ভক্তি যোগের শরীর জুড়ে , রাধাবল্লব যতিচিহ্ন ভালোবাসেন নির্বিকল্প সমাধি ক্ষেত্রে
তম , প্রথমেই আবির মাখা দেওঘরে এত প্রাণপ্রাচুর্য শরীরের উজাগর ও কনিষ্ক শরীরের চামড়া ঝুলে ঈশ্বরচিন্তার প্রাণায়াম যোগ করেন বৈকুন্ঠের প্রভাত চৌধুরী
একপক্ষ কাল অর্জুনের হলুদ বাঁশিটি মুড়ে রাখার পর হিরণ্যগর্ভ অন্ডকোষের পাশে ঈশ্বর মাতবেন পঞ্চমুখের জন্মবৃত্তান্ত নিয়ে , তার দাঁতালো সমুদ্রের পাশে বীর্যপাত ঘটিয়ে সৃষ্টি করবেন নব্য জরায়ু সমন্বিত আলেখ্য পোশাক , রাত প্রগাঢ় হলে মৃত্যুও পাশ ফিরে ঘুমায় তাল পাতার মতো দাঁত বের করে
প্রগাঢ় অট্টহাসিতে আয়নাটির মূর্ছা গেল আবার অম্বালিকা দেহে
পুরুষেরা শ্মশান ভেদী কামনার তীর গুলো বিদ্ধ করে মাটির গর্ভকেশর বন্ধুদের , যারা দাহ পর্ব সেরে স্নানে যায় তারা অর্জুনের ধর্মক্ষেত্রে সকলেই নাভি ছিঁড়ে খায় পিশাচের মতো
মধ্যরাতে একা মহাজন হাঁটতে বেরোয় দেবতার আয়ু অথবা অসুখের চৌকাঠ মাড়িয়ে প্রতিটি নারীর পাশে পরকীয়া ক্ষেত্র গড়ে তুলে লোসারটিন এইচের মতো লিউকেমিয়া আক্রান্ত পুরুষেরা, দূর্বাঘাসের ঠোঁট কামড়ে পড়ে থাকে বুকে রাখা লোমশ কমললেবু বাগানের মতো মৃত্যু সরীসৃপ, এখানে সকলেই নিরাময়ের আপেল ফল টিকেই কামড়ে দেয় বিষ ফলের মতো
আমি আগুনের জরায়ুতে মুখ লাগিয়ে শুয়ে থাকি ৩৩ কোটি বছর আমার পিঠের আগুনের শ্লীলতা কার্বন মনোক্সাইড পোশাক ,
আমি জিভের রতিচক্রকে ভালোবাসি দক্ষ নারীর মতো , মালাবতী
বাঁশীটি বেজে উঠলেই মৃত্যু কখনো ইছামতীর নারী হয়ে যায় না , পদ্মের পিচ্ছিল পাপড়ি নিয়ে রাত ১১ঃ ০৫ এর মানুষেরা ভয়ার্ত ব্যঞ্জন হয়ে থাকে বাড়িটির চৌকাঠের নিচে
মৃত মাছেরা রঙিন পোশাক পরে স্থির দাঁড়িয়ে থাকবে উল্টো মুখে থাকা জলের পাত্রের মধ্যে , আমি মৃত প্রকৃতিবিজ্ঞানের খাতায় সনাতন সন্ন্যাসীদের শুকতারায় নিয়ে যায় কাশ্যপ মন্ত্র পাঠে , সকলের জন্মের রেতঃপাত উড়ছে আকাশের ধোঁয়ায়
এরপর প্রাচীন হস্তমৈথুন খুঁজে বের করে নিজের লিঙ্গের পাশে থাকা শীঘ্র পতন কোনটি কে দূর থেকে বুকের আস্থা কৃষ অর্জন করবো, কেউ কেউ লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে স্বপ্নদোষে
তাদের শরীরে প্রস্তরীভূত দাঁত থাকবে না
বাকল জুড়ে অশৌচ থাকার পর জীবন্ত কুয়াশার নিচে সকলেই কেমন পশুপতি শরীরে রোপন করবে পিনাকীদেহ , তরল হিমোগ্লোবিন বীজ
ব্রহ্মসূত্রের বিয়োগান্ত পাঠ নিতে আমরা সকলেই শীতকালের কিউটিকেল মেশানো নীলাচলের পারদ অর্ঘ্য ও বীর্যের ধাতব অন্ধকারাচ্ছন্ন ফসিলকে গুঁড়ো করে খেয়ে নেবো হলুদ বাবলা ফুলে মিশিয়ে
শ্মশান যাত্রীদের মুখে একটি কাল্পনিক শব্দ ও অঙ্গুরীমাল প্রচ্ছায়া সংকেত উনুনের পাশে সকলেই এক বিষন্ন পোশাক নিয়ে মায়াচরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকবে হরিধ্বনি নিয়ে
আর ও প্রান্তরে নেমে যাবো ঘনায়মান পিশাচের অন্ধকারের শরীরে, আগুনকে পুংকেশর মনে হবে প্রতিটি রাত্রিবেলায় , আত্মস্থ মানুষ মৃত হলে অলৌকিক থাকে না কেউ
পশ্চিম দিকে তাকিয়ে থাকলে দেবতাদের বীজ ঘরের অংকুর ঘটে পাখিরা মধ্য প্রদেশের সূক্ষ্মকোণ চাঁদের শরীর ভেঙ্গে নেমে আসবে এই পুরোহিত তলায় , নারী শুধু বিষধর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে নৈঋতে
পোশাকে অশৌচ গন্ধ থাকে আর নিচু হয়ে কদম্ব জলাশয়ের সব মাছেদের পোশাক আলগা করে বিষন্ন রৈখিক বন্ধনী খুলে ফেলি জরায়ুজ অঙ্গ জনন নেশায়
মৃত্যুর পর প্রতিটি আগুনের স্বাহার শব্দ আরও বিচিত্র হয়
আমি অজগরের তৃতীয় মস্তিষ্কের ওপর নারায়ণের নৃত্য দেখে ফেলি বিবস্ত্র রাধিকার অন্তর্বাসে , আমি পিরামিডের দুটো স্তনবৃন্ত আলগা করি , কাঁচা জ্বালানির ভিতরে রক্তক্ষরণের ক্ষমতা অধিক
পরাবৃত্ত দেবতাদের পেছনে আরো অদৃশ্য ঈশ্বর হয়ে দাঁড়িয়ে আমি ক্রমশ মৃত্যু পরবর্তী অর্থকে নির্মীয়মান প্রান্তরের ভেতরে নিয়ে যাই আমি আরো কাল্পনিক হয়ে যাচ্ছি নিজের শরীরের ভেতর অন্ধকারে আমি ক্রমশ প্রকট কান্নার আত্মস্থ কথা শুনে জেগে উঠবো বারবার ,ধুপ উড়ছে হাওয়ায়
ভয়হীন হেরোডোটাস খুঁজে বেড়াবে অযৌন মৃত্যু শরীর, চাঁদ দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে গিয়ে একবার স্নান সেরে উঠে আসবে ভয়হীন তুতেনখামেনের মতো
মৃত্যুর পর যেভাবে প্রভাত চৌধুরীর চশমা যৌগিক হয়ে গেছে
দশমিকের পর ঘুমেরা আজও যন্ত্রণাহীন