শেষ দিনে কোচবিহারে সব আসনে মনোনয়ন জমা দিল বিজেপি, তুলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ।

0
319

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ শেষ দিনে এসে কোচবিহারে ২০ টি ওয়ার্ডের মনোনয়নপত্র জমা দিল বিজেপি। আজ কোচবিহার জেলা কার্যালয় থেকে বিজেপির জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায়, নিখিল রঞ্জন দের নেতৃত্বে মিছিল করে গিয়ে কোচবিহার সদর মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দেন দলের প্রার্থীরা।
কোচবিহার পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সঞ্চয়িতা সাহা, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মহুয়া রায়, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পম্পা পাল, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দেবাশিস রাউথ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে পবন বুচ্চা, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিনোদ রজক, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাবেরি হাজরা, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পঙ্কজ বুচ্চা, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্বপন দাস, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অপর্ণা বিশ্বাস, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বীরেন্দ্রনাথ রায়, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নিখিল দাস, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড অরিন্দম রায়, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহুয়া সিংহ রায়, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুশীলা রায়, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দেবাশিস ঘোষ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মিনতি দাস ইশোর, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মিতা সাহা, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে টুম্পা দে এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন আসিম বনিক।
এদিন মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “মাথাভাঙ্গা, তুফানগঞ্জ ও কোচবিহারের সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছি আমরা। মাথাভাঙ্গায় প্রার্থী দেওয়ার পর প্রার্থীদের প্রস্তাবকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। দিনহাটায় আমাদের প্রার্থী রেডি থাকলেও সেখানে তৃণমূল আমাদের দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দিচ্ছে না। সেখানকার তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন ওদের হয়ে কাজ করছে।”
গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে কোচবিহার সহ মাথাভাঙা, দিনহাটা এবং তুফানগঞ্জ শহরে বিজেপি প্রায় সব ওয়ার্ডের এগিয়ে ছিল। কিন্তু রাজ্যে ক্ষমতায় না আসায় বিজেপির সংগঠন সব শহরেই ভাঙতে শুরু করে। দিনহাটায় উপনির্বাচনে তার ইঙ্গিতও মিলেছে। সেই কারনেই এই শহর গুলোতে বিজেপি আদৌ লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনের মত ফল করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।