পৌর নির্বাচনের প্রচারে ভিন্ন ছবি চন্দ্রকোনায়।তৃণমূল প্রার্থী বৌমা,দলীয় কর্মীদের সাথে বৌমার হয়ে প্রচারে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি।

0
274

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পৌর নির্বাচনে এবার তৃণমূলের প্রার্থী বৌমা,শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে ভোট প্রচারে ময়দানে,পৌর নির্বাচনের প্রচারে এমনই পারিবারিক ছবি দেখা গেলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে।এবারের পৌর ভোটে ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বনশ্রী সাহা।২২ বছর বয়সী বনশ্রী সদ্য বিবাহিতা,এবারের পৌর ভোটে সম্ভবত কনিষ্ঠতম প্রার্থী।বনশ্রীর শ্বশুর লক্ষ্মণ কামিল্যা ও শ্বাশুড়ি রীণা কামিল্যা।লক্ষ্মণ ও রীণা কামিল্যার একমাত্র ছেলের সাথে মাস ছয়েক আগে বিয়ে হয় বনশ্রী’র,যদিও লক্ষ্মণ বাবুর এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে আগেই।লক্ষ্মণ কামিল্যা ৩ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল নেতা হিসাবে সুপরিচিত এবং তার স্ত্রী রীণা কামিল্যা ২০১৫ পৌর ভোটে ৩ নং ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে কাউন্সিলর ছিলেন।তৃণমূল ঘরানা ৩ নং ওয়ার্ডের এই কামিল্যা পরিবার।এবারের পৌর ভোটে চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়ে রাজনৈতিক হাতে খড়ি হতে চলেছে বৌমা বনশ্রী সাহার।২৭ শে ফেব্রুয়ারি ১০৮ টি পৌরসভার সাথে চন্দ্রকোনা পৌরসভাতেও নির্বাচন রয়েছে।মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হতেই ওয়ার্ডের দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে বৌমার সমর্থনে বাড়ি বাড়ি প্রচার থেকে দেওয়াল লিখনে দেখা গেলো তৃণমূল প্রার্থী বনশ্রী সাহা’র শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে।এইদিন বৌমা বনশ্রী সাহা ওয়ার্ডের ঠাকুরবাড়ি বাজারের এক মন্দিরে প্রণাম সেরে এবং শ্বশুর-শ্বাশুড়ির পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়ে তাদের সাথে নিয়ে প্রচার শুরু করেন।মাত্র ছ’মাস আগে বিয়ে হয়ে বৌমা বাড়িতে এসেছে এবং তারউপর তৃণমুলের হয়ে পৌর ভোটের ময়দানে পা দিয়েছে।বৌমার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সাহস যোগাতে দলীয় কর্মীদের সাথে ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সাথে বৌমার প্রার্থী পরিচয় করিয়ে দিতে দেখা গেলো শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে।প্রচারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিতে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী বনশ্রী সাহা’কে।ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজলক্ষ্মী কর নামের এক মহিলা বলেন,”প্রার্থীর শ্বশুর-শ্বাশুড়ি দুজনেই তাদের বৌমাকে নিয়ে আসছিলেন প্রচারে,সদ্য বিবাহিত প্রার্থী।ওনাদের সকলকেই চিনি।”তৃণমূল প্রার্থী বনশ্রী সাহা বলেন,”মা-বাবা দলের কর্মী সবাইকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছি সবার আশীর্বাদ পাচ্ছি খুবই ভালো লাগছে।প্রচারে মা-বাবাকে পাশে পেয়ে খুবই আনন্দিত,বিপুল ভোটে জয়ী হব আশাবাদী।”অপরদিকে প্রার্থীর শ্বশুর লক্ষ্মণ কামিল্যা ও শ্বাশুড়ি রীণা কামিল্যা দু’জনেই জানান,”ও আমার বৌমা নই নিজের মেয়েই,মানুষের আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য ওকে নিয়ে কর্মীদের সাথে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি।দিদির হাত শক্ত করার জন্য যা যা করণীয় ওকে বলবো মানুষের জন্য তাই করতে।”শ্বশুর বাড়িতে শ্বাশুড়ি বৌমার সম্পর্ক নিয়ে অনেক তিক্ততার খবর শোনা গেলেও,সেই সম্পর্কের সম্পুর্ন ভিন্ন ছবি ধরা পড়লো চন্দ্রকোনায় পৌর নির্বাচনের প্রচারে।