প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া : আজ ৬ ঘণ্টার জন্য বিদ্যাসাগর সেতুর যান চলাচল বন্ধ করলো হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনারস। সূত্রের খবর আজকে অর্থাৎ রবিবার ১৩ ই ফেব্রুয়ারি সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত সেতুর উপর সকল যান চলাচল নিষিদ্ধ ছিল । সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত । সেতু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগেই হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল। সেই মতোই আজকে বন্ধ করে দেওয়া হলো বিদ্যাসাগর সেতুর উপর যান চলাচল।
প্রসঙ্গত এইচআরবিসির প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই সেতুটি পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন । কলকাতা পুলিশকেও এই বিষয়ে তারা মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন। এরপর সেতু বন্ধের লিখিত চিঠি দিয়ে হাওড়া ও কলকাতা পুলিশকে জানান হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। হাওড়া সিটি পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ সূত্রে খবর এইচআরবিসির তরফে লিখিত আকারে সেতু বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিল। আজ ৬ ঘন্টার জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে সেতু। পুলিশ সূত্রে খবর, টালা সেতু বন্ধ থাকায় এই বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে প্রধানত পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত বেশি করে। তাই এই সেতুকে কেন্দ্র করে যানজট নিয়ন্ত্রিত করতে পোর্ট ট্রাস্টের পক্ষ থেকে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে রাজ্য পুলিশের ট্র্যাফিক ও এডিজি ট্রাফিককেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছিল। এইচআরবিসির কর্তাদের কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সকলের সঙ্গে কথা বলা হয় যাতে পরীক্ষণ চলাকালীন সেতুর উপর কোনোভাবে যান চলাচল না হয় ও যান জট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আগেভাগেই ডায়মন্ড হারবার ও হাওড়া জেলা পুলিশের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে । সেতুর দুই প্রান্তের রাস্তায় ট্রাফিক যাতে গাড়ি না জমা হয় তাই হেস্টিংস মোড় থেকেই গাড়ি হাওড়া ব্রিজ অভিমুখে ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতা ও হাওড়া সিটি পুলিশ ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যাচ্ছে এজেসি বোস রোডের মোড় থেকেই সেন্ট জর্জ রোড, স্ট্রান্ড রোড ও হাওড়া ব্রিজের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কেপি রোড যাওয়ার জন্য হেস্টিংস মোড় থেকে ডানদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সকাল ১১ টার পর থেকে বিদ্যাসাগর সেতুর উপরে কোনো গাড়িকে উঠতে দেওয়া হবে না বলেই ট্রাফিক সূত্রে জানা গেলেও ইতিমধ্যে সব গাড়িকে ঘুরপথে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে কলকাতা ও হাওড়া ট্রাফিক বিভাগের থেকে। সাঁত্রাগাছি থেকে কলকাতার বাসগুলোকে বন্ধ রাখা হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে ছয় ঘন্টা সেতু বন্ধ রাখার কথা আগাম জানান হলেও সাঁতরাগাছি মোড়ে কয়েকজন যাত্রীকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। আন্দুল থেকে আসা যাত্রী সমীরণ বিশ্বাস জানান তিনি আলিপুর যাবেন বলে অপেক্ষা করছেন কিন্তু কোনো গাড়ি পাচ্ছেন না। তিনি বলেন সেতুতে কাজ চলছে জানতেন না। তাই ঘুর পথে ট্যাক্সি যদি পান তাহলে যাবেন।
যদিও তিন বছর আগে বিদ্যাসাগর সেতুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরীক্ষা করানো হয়েছিল। সেই সময়ই বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে ৮২৩ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি খুলে দেওয়া হয় জনসাধারণের জন্য।