পৌর নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হলেও বৌমা তৃণমূলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী,কটাক্ষ BJP র,রাজনৈতিক শোরগোল খড়্গপুরে।

0
433

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:- পৌর নির্বাচনে বিভিন্ন চিত্র উঠে আসছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে,এবার অন্য রকম চিত্র লক্ষ্য করা গেলেও খরগপুর পৌরসভায়, যেখানে শশুর দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে খড়গপুর পৌরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে,এবং পরিবারের সদস্য অর্থাৎ বৌমা তৃণমূলের প্রার্থী উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্দল প্রার্থী হলেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে,জানিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ সুর তুললেন ৩৩ ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী তথা বিধায়ক হিরণময় চট্টোপাধ্যায়, জানা গিয়েছে খড়গপুর পৌরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড এবার জেলার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একদিকে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জহর পাল তার বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণময় চট্টোপাধ্যায়, কিন্তু তারই মাঝে বৌমার এই পদক্ষেপে অনেকটাই ব্যাকফুটে তৃণমূল, এটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের, যদিও এই সম্বন্ধে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী তথা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর বৌমা জয়া পাল বলেন যেখানে সুবিচার করা হয়নি তাই এইরকম পদক্ষেপ,তিনি আরো বলেন আমি ২০১০ সালে তৃণমূল থেকে জয়লাভ করেছিলাম এবং কাউন্সিলার হয়েছিলাম ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে,আমি মনেপ্রাণে মমতা ব্যানার্জিকে শ্রদ্ধা করি ও সম্মান করি কিন্তু আমি দেখলাম দল আমার কথা বিচার করেনি, আজ এত বছর বাদে যারা কর্মীরা এতদিন ধরে পরিশ্রম করেছে,এবং এই ওয়ার্ডটিকে সাজিয়েছে সুন্দর করে সাজিয়েছেন,উনাদের কথা চিন্তা না করে দল এক জায়গায় বসে গিয়েছে যে কর্মীরা এবং পরাজিত প্রার্থী সেই কবিতা দেবনাথ কে পুনরায় পার্থী করেছে এতে আমি খুবই ক্ষুন্ন হয়েছি, এই পরিপেক্ষিতে আমি যেতাম ক্যান্ডিডেট হলেও আমার কথা চিন্তা করেনি দল,দলের এই সিদ্ধান্তকে মন থেকে ক্ষুন্ন হয় কর্মীদের ইচ্ছায় আমি নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, তবে ইতিমধ্যেই আমার প্রচারকার্য শুরু হয়েছে, আমি সম্পূর্ণভাবে আশাবাদী জয়ের ক্ষেত্রে, তবে বৌমার এই সিদ্ধান্ত এড়িয়ে যেতে চাইলেন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তথা নির্দল প্রার্থীর শশুর জহর পাল, তিনি বলেন তার ব্যক্তিগত মতামত এরমধ্যে আমার কিছু বলার নেই, তবে এই পরিস্থিতিতে ফায়দা নিতে ছাড়েনি বিজেপি, বিজেপি প্রার্থী তথা বিধায়ক হিরণময় চট্টোপাধ্যায় বলেন মানুষ বুঝে গেছে তিনি আগে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন সেখান থেকে এসে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন, আবার তার দলের বিরুদ্ধে তার বৌমাকে দাঁড় করিয়েছেন, ছাড়া খড়্গপুরের মানুষ কনফিউজড, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ কনফিউজড, বাড়ির লোকেরা কনফিউজড, তারা বিভ্রান্ত তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের না অন্য কোন দলের, নিজে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আর বৌমা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী, তাহলে উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে আদর্শিত, না উনি ওনার নিজের পরিবারের উন্নয়নের আদর্শে আদর্শিত, এমনিভাবে কটাক্ষ করলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণময় চট্টোপাধ্যায়, তিনি আরো বলেন গত ২২ বছরে উনি আর উনার নিজের ছেলে আর উনার বৌমা তাদের উন্নয়ন ছাড়া কোন কিছুই ভাবেন নি তার প্রতিষ্ঠ প্রমাণ নিজের দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নিজের বৌমাকে দলের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছেন, কারণ উনি ভাবছেন দুটি ওয়ার্ডেই আমি রাজা হবো, এটা পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম এমনিভাবে কটাক্ষ করলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণময় চট্টোপাধ্যায়, যদিও দলীয় নির্দেশ যেই প্রার্থীর জন্য এই রকম পরিস্থিতি সেই ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কবিতা দেবনাথ বলেন এটা দলীয় সিদ্ধান্ত দল যেটা ভালো ভেবেছো সেটাই করেছে। তবে আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি খরগপুর পৌরসভা নির্বাচনে ওই দুটি ওয়ার্ডে কি হতে চলেছে সেই দিকে নজর থাকবে আমাদের।