সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন ‘গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলা ভালো’।
সেই অমূল্য বাণী কে হাতিয়ার করে এগিয়ে এলো বাসন্তী ব্লকের পালবাড়ির নাঁওয়া দিশা আদিবাসী ক্লাব।মহামারী আতঙ্কে ভীত,ছন্দহীন যুবসমাজ ও মানব মনের শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিশ্ব উষ্ণায়ণ থেকে সুন্দরবন কে রক্ষা করার বার্তা দিয়ে আয়োজিত হয় দুই দিনের দিবারাত্রি সমন্বয় কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট। শনিবার টুর্ণামেন্টের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন তপঃশিলি জাতি ও উপজাতি সেলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি বাপন নস্কর।
উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস,বাসন্তী থানার আইসি আব্দুর রব খান,টুর্ণামেন্ট কমিটির অন্যতম সদস্য তথা জেলা তপঃশিলি জাতি ও উপজাতি সেলের সম্পাদক গণেশ সরদার,বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন লস্কর, জেলাপরিষদ সদস্য শঙ্করী মন্ডল,বিশিষ্ট শিক্ষক শিবনাথ মন্ডল,সমাজসেবী আমানুল্লা লস্কর,বিনয় ভকত সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।
দশম বর্ষের টুর্ণামেন্টে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ১৬ টি ফুটবল দল অংশ গ্রহণ করে।শনিবার টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সোনালি নার্সিংহোম বনাম সোনাখালি তরুণ তীর্থ ক্লাব।খেলার নির্ধারিত সময়ে কোন মীমাংসা না হওয়ায় টাইব্রেকার হয়। টাইব্রেকারে সোনাখালি তরুণতীর্থ ৪-৩ গোলে জয়লাভ করে। ম্যাচের সেরা খেলায়াড় হয়েছেন জয়ী দলের গোলকিপার সন্দিপ সিং। বিশ্বউষ্ণায়ণ থেকে সুন্দরবন কে রক্ষা করার বার্তা দিয়ে তাঁর হাতে পুরষ্কার হিসাবে চারা গাছ ও শীতের কম্বল তুলেদেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক ও বাসন্তী থানার আইসি।
ফুটবল খেলা প্রসঙ্গে বিধায়ক জানিয়েছেন ‘আমাদের ক্যানিং মহকুমা থেকে প্রচুর প্রতিভাববান খেলোয়াড় উঠে এসে দেশ বিদেশের মাঠ মাতিয়েছেন। এমন খেলাধূলার মধ্যদিয়ে আগামী দিনেও প্রতিভাববান খেলোয়াড় উঠে আসবে এবং সুন্দরবন তথা ক্যানিং মহকুমার মুখ উজ্জল করবে।’
এদিন খেলায় ফুটবল প্রেমী সাধারণ দর্শকের সংখ্যাছিল নজরকাড়া।