সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –সত্য সেলুকাস,কি বিচিত্র ময় দেশ।ছেলেকে বেধড়ক মারধোর করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছুটলেন খোদ জন্মদাতা মা।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার অন্তর্গত কাঁঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁঠালবেড়িয়া গ্রামে।গুরুতর জখম অবস্থায় ছেলেকে উদ্ধার করে রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটলেন মা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গুরুতর জখম যুবক রাজু মন্ডল।তার মায়ের নাম অঞ্জলি মন্ডল।
অঞ্জলি দেবীর অভিযোগ ‘কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করে দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে মানুষ করার চেষ্টা করি। দুই মেয়েকে কষ্ট করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।বড় ও ছোট ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। বিগত প্রায় ১০ বছর আগে ছোট ছেলের বিয়ে দিই।দুই ছেলেও রয়েছে তার।সংসারে কোন মন নেই। প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে সকলকে মারধর করে। এমন ভাবে প্রায় ১৫ বছর চলছে।ওই ছেলের জন্য পাড়া প্রতিবেশী সহ আমরা অতিষ্ট।গত ৮-৯ মাস আগে ওর বাবা ভোলা কে মারধর একটি পা ভেঙে দেয়।ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে মা হয়ে কিছু বলতে চায়নি।শনিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় এসে পরিবারের সকল কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে।প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে লাঠি দিয়ে মারধর করেছি।নিজের জন্মদাতা সন্তান কে কি কোন মা এভাবে মারে।দীর্ঘ যন্ত্রণার ফলে এমন কাজ করেছি।’