সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – মঙ্গলবার সকালে ক্যানিং বাস ষ্ট্যান্ডে আয়োজিত এক সরকারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্যানিং ১ ব্লকের ছাত্র-ছাত্রী ও ভূমিহীন মানুষের হাতে জাতিগত ’শংসাপত্র,জমির রেকর্ড ও পাট্টা তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস,ক্যানিং ১ ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি অরিত্র বোস,জেলাপরিষদ সদস্য সুশীল সরদার,তপন সাহা,ক্যানি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা মিস্ত্রী,ক্যানিংয়ের মহকুমা শাসক আজহার জিয়া,ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারীক দিবাকর দাস,ক্যানিং ১ বিডিও শুভঙ্কর দাস,ক্যানিং ১ ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারীক কৃশানু সেন সহ অন্যান্য একাধিক সরকারী আধিকারীক।
উল্লেখ্য এলাকার অসংখ্য দরিদ্র মানুষজন উদ্বাস্তুর মতো যত্রতত্র বসবাস করছিলেন। তাছাড়াও সরকারি খাস জমির উপর ও অনেক পরিবার বসবাস করছিলেন। নিজস্বতা বলে কিছুই ছিল না।সেই সমস্ত ভূমিহীন মানুষজন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে হাজির হয়ে তাদের অভাব অভিযোগ জানিয়ে জমির পাট্টা,রেকর্ড এবং জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন।সরকারি ভাবে উদ্যোগ নিয়ে মাত্র তিন মাসের মধ্যে তাদের হাতে জাতিগত শংসাপত্র,জমির পাট্টা,রেকর্ড তুলে দেওয়া হয়।
বিধায়ক পরেশরাম দাস জানিয়েছেন ‘মঙ্গলবার এক সরকারি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ক্যানিং ১ ব্লকের দিঘীরপাড়,মাতলা ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১০৫ জনের জাতিগত শংসাপত্র এবং ব্লকের ১০৯ জন ভূমিহীন মানুষের হাতে পাট্টা ও ১৬ জনের হাতে জমির রেকর্ড তুলে দেওয়া হয়েছে।যাঁরা আবেদন করেছেন কিংবা আবেদন করবেন খুব কম সময়ের মধ্যে তাদের কে আগামী দিনে এমনভাবেই জমির পাট্টা,রেকর্ড ও জাতিগত শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে’।
অন্যদিক ক্যানিংয়ের মহকুমা শাসক আজহার জিয়া জানিয়েছেন ‘আমরা সরকারি ভাবে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছি।সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেতে অফিসে হাজীর হতেন। সেই সমস্ত কাজ খুব কম সময়েই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে হয়ে যাচ্ছে এবং খুব কম সময়ের মধ্যে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পেয়ে যাচ্ছেন।এছাড়াও বিগত দিনে ক্যানিং মহকুমা এলাকার চারটি ব্লকে যেভাবে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল,তার মধ্যে ক্যানিং ১ ব্লকে ২০২০ সালে ১৬০০ মতো দেওয়া হয়েছিল।ভালো কাজের সুবাদে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ক্যানিং ১ ব্লক। এই ব্লকে বিধায়ক পরেশরাম দাসের সৌজন্যে ২০২১ সালে প্রায় ৮০০০ জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। যা ক্যানিং মহকুমা এলাকার বিরল এক রেকর্ড।’