ক্যানিংয়ে গৃহবধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার,এলাকায় চাঞ্চল্য,খুন না আত্মহত্যা? তদন্তে পুলিশ।

0
378

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – এক গৃহ বধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার কে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত গৃহবধুর নাম দিপীকা মুখার্জী(২৮)। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার সকালে ক্যানিং থানার অন্তর্গত মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিঠাখালি পশ্চিমপাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বছর ১২ আগে দিপীকার বিয়ে হয় বারুইপুর থানার অন্তর্গত নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সালেপুর এলাকার শ্যামল মুখার্জী সাথে।দম্পতীর এক পুত্র সন্তান হয়।পরে শ্বশুর বাড়ির সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় ১০ বছর আগে ওই গৃহবধু সন্তান কে নিয়ে চলে আসে বাপের বাড়িতে।স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়ে যায়।নিজের সন্তান কে মানুষ করার জন্য কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করতে থাকেন ওই গৃহবধু।রাজারহাট নিউটাউনের যুবক প্রসেনজিত বিশ্বাসের সাথে ফোনে আলাপ হয় দিপীকার। পরে সম্পর্ক গাঢ় হয়।সম্পর্ক গাঢ় হওয়ার সুবাদে ওই গৃহবধুর ক্যানিংয়ের বাড়িতে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে যাতায়াত করে ওই যুবক।পেশায় গাড়ি চালক ওই যুবক বুধবার ক্যানিংয়ে ওই গৃহবধুর বাড়িতে ছিল।এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ সন্ধ্যার সময় প্রসেনজিত ও দিপীকার মধ্যে ঝগড়া হয় পরে মিটেও যায়। রাতে সকলে খাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ে।এরপর সকাল প্রায় ৮ টা নাগাদ ওই গৃহবধুর ঘরের দরজা বন্ধ দেখেন প্রতিবেশীরা। তারা হাঁক ডাক করলেও কোন সাড়া না মেলায় পরে তারা দেখতে পায় দরজায় তালা লাগানো রয়েছে। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই তাদের নজরে পড়ে গৃহবধুর ঝুলন্ত দেহ। অন্যদিক প্রসেনজিতও পলাতক। এলাকার লোকজন তার সাথে একাধিকবার ফোনে যোগযোগ করলেও কোন উত্তর পাননি।শেষে ক্যানিং থানার পুলিশে খবর দেয় গ্রামবাসীরা। ক্যানিং থানার পুলিশ ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি এটি আত্মহত্যা না খুন সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে প্রতিবেশী সহ ওই গৃহবধুর মা নিলীমা মুখার্জীর দাবী ‘ক্যানিং থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছি।আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। ওকে প্রসেনজিত বিশ্বাস খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে ঘরে তালাবন্ধ করে পালিয়েছে।ওর কঠোরতম শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।’