একরত্তি শিশুর প্রাণ বাঁচানোর উদ্যোগে মানবিক বিধায়ক।

0
458

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – একরত্তি শিশুর প্রাণ বাঁচাতে উদ্যোগ নিলেন মানবিক বিধায়ক।দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত একরত্তি শিশুর জটিল অপারেশন হয়। আয়ুশ ঘোষ নামে ছয় মাসের শিশুটি সুস্থ রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে আট বছর আগে ক্যানিংয়ের মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদ্যাধরী পাড়ার পিন্টু ঘোষের বিয়ে হয়েছিল তালদি এলাকার পায়েলের সাথে। দম্পতীর সাত বছরের এক কন্যা রয়েছে। গত ছয় মাস আগে দম্পতীর পরিবার আলো করে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান।পেশায় কাপড়ের দোকানের কর্মচারী পিন্টুর ছোট্ট পরিবার আনন্দে কাটছিল। গত প্রায় তিনমাস আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে পরিবারের কনিষ্ট সদস্য আয়ুশ।তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ।পরে কলকাতার আর এন টেগোর হাসপাতালে মঙ্গলবার জরুরী অপারেশন হয় ওই শিশুর। অপারেশন সফল হলেও রক্তের প্রয়োজন হয়।তার রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানতে পারে ‘এ’নেগেটিভ।হাসপাতালের তরফ থেকে শিশুর পরিবার কে জানানো হয় জরুরী ভিত্তিতে ওই শিশুর রক্তের প্রয়োজন।
শিশুর পরিবারের লোজকজন ‘এ’ নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত পাওয়ার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য ‘এ’ নেগেটিভ রক্তের জোগান না থাকায় খালি হাতেই ফিরতে হয়। কি ভাবে বাঁচবে একরত্তি শিশুর প্রাণ!সেই চিন্তায় বিমর্ষ হয়ে পড়েন শিশুর পরিবার।বৃহষ্পতিবার শিশুর পরিবারের লোকজন রক্ত চেয়ে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পরেশরাম দাসের কাছে হাজীর হয়। সেখানেই বিধায়কের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুর পরিবার। বিধায়ক কি করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না।তিনিও তাঁর সাধ্যমতো বিভিন্ন জায়গায় রক্তের জন্য যোগাযোগ করেন।তাতে কোন প্রকার সমস্যা সমাধান না হওয়ায় বিমর্ষ হয়ে পড়েন স্বয়ং বিধায়কও। তবে তিনি শিশুটির প্রাণ বাঁচানোর উদ্যোগ নিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র,শিশুর ছবি দিয়ে নিজের ফেসবুক এ একটি পোষ্ট করেন।পোষ্টের কয়েক ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ‘এ’ নেগেটিভ রক্তদাতারা বিধায়কের সাথে যোগাযোগ করেন।হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বিধায়ক ও শিশুর পরিবার। শুক্রবার সকালে দুই রক্তদাতা কলকাতার আর এন টেগোর হাসপাতালে হাজীর হয়ে রক্তদান করেন।
বিধায়ক পরেশরাম দাস জানিয়েছেন ‘সংবাদ শোনার পর মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল।চিন্তায় ছিলাম।দ্রুত সমস্যা সমাধান হওয়ায় স্বস্ত্বি ফিরে পেয়েছি।তবে সাধারণ মানুষের কাছে আমার আবেদন যত বেশী পারবেন রক্তদান এবং রক্তদান শিবির করুন। কারন রক্ত তো আর তৈরী করা সম্ভব নয়। একের রক্তে অন্যের জীবন বাঁচে।’
অন্যদিকে শিশুটির পরিবার জানিয়েছেন ‘বিধায়ক উদ্যোগ না নিয়ে হয়তো শিশুর প্রাণ বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়তো।পাশে থাকার জন্য বিধায়ক কে অসংখ্য ধন্যবাদ।