কাঠের ব্রীজের অবস্থা সঙ্কটজনক,ঘটতে পারে দুর্ঘটনা,উদাস প্রশাসন।

0
950

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নিজস্ব সংবাদদাতা:- যাতায়াতের একমাত্র ভরসা কাঠের একটি ব্রীজ। বয়সের ভারে বর্তমানে তার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। তা স্বত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিত্যদিন পারাপার করতে হয় বাঁশিরাম,হিরন্ময়পুর,নফরগঞ্জ সহ অন্যান্য গ্রামের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ও এলাকার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী ‘এতোকিছুর পরও উদাস প্রশাসন।অবিলম্বে আমাদের দুর্দশার কথা ভেবে একটি কংক্রীটের ব্রীজ তৈরী করেদি সরকার।’
প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের নফরগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত।একেবারে পঞ্চায়েত অফিসের পিছন থেকে বয়ে চলেছে সুন্দরবনের বিদ্যাধরীর নদীর একটি শাখা নদী।বিগতদিনে গ্রামের মানুষজন খেয়া পারাপার হয়ে যাতায়াত করতেন।স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় বছর দশেক আগে নদীতে একবার খেয়া নৌকা উল্টে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও গ্রামের মানুষের তৎপরতায় কোন প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেনি। পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষের কষ্ট,দুঃখ দুর্দশা দেখে গ্রামেরই বাসিন্দারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে একটি কাঠের ব্রীজ তৈরী করেন।চলাচলের সুবিধা হয় গ্রামবাসীদের। দীর্ঘকাল ব্রীজটি সংস্কার না হওয়ায় ব্রীজটিতে ভাঙন ধরে যায়।বর্তমানে কাঠের ব্রীজটি দুধারে কোন প্রকার রেলিং নেই। ব্রীজের অধিকাংশ জায়গায় কাঠ নষ্ট হয়ে গিয়ে বড় বড় ফাটল তৈরী হয়েছে।মাঝে মধ্যে ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটেও চলেছে।
কবে হবে ব্রীজের সংস্কার?কবেই বা হবে কংক্রীটের সেতু সেই আশায় চাতকের মতো অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।কাঠের ব্রীজ সম্পর্কে এলাকার বিধায়ক জানিয়েছেন ‘ঘটনাটি নজরে রয়েছে।যাতে করে ব্রীজটি তৈরি করা যায় সেই উদ্যোগ নেবো।’