প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া : কথায় আছে “রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় প্রজার প্রাণ যায়” আপ্ত বাক্যটি সত্যি হলো স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের টানা পোড়েনে নিষ্পাপ এক শিশু কন্যার তান যাওয়ার ঘটনায়। হসপিটালে এম আর আই করার জন্য শিশুটির বাবার সই করানোর জন্য মৌমিতা অর্থাৎ শিশুটির মা স্বামীর কাছে সই করাতে গেলে তার স্বামী মেয়ের ফর্মে সই করেননি বলে অভিযোগ। এম আর আই ফর্মে বাবা সই না করায় সম্ভব হল না এম আর আই। ফলে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা গেল সাড়ে তিন বছরের কন্যা শিশু। মৃত শিশুর নাম বিদিশা পাল। সূত্রের খবর ৪ বছর আগে বাগনানের বাইনান গ্রামের মৌমিতা সাউয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় আমতা বাঁকুড়া গ্রামের প্রসেনজিৎ পালের। স্বাভাবিক ভাবেই এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মৌমিতা। এর পর থেকেই মৌমিতার স্বামী প্রসেনজিৎ ও শ্বশুর রনজিত সহ পরিবারের লোকজন তার উপর শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য। অতিষ্ঠ হয়ে মৌমিতা শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে আবার ফিরে ও যায় শ্বশুরবাড়িতে মেয়েকে নিয়ে । কিন্তু নির্মম হিদয়ের প্রসেনজিৎ মেয়ে ও বৌকে ঘরে না তুলে রাস্তাতেই বসিয়ে রাখে। এই পরিস্থিতিতে লোকের কাছ থেকে টাকা চেয়ে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছিল মৌমিতা ও তার জনমজুর বাবা। মস্তিস্কের বিরল অসুখের জন্য তার এম আর আই দরকার হলে সেই ফর্মে ও স ই করে নি শিশুটির বাবা। এরপরেই ক্রমশ নেতিয়ে পড়ে শিশুটি। বৃহস্পতিবার রাত নয়টা নাগাদ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন চিকিৎসকরা। মৃত শিশুর মা স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ি সকল দোষীদের শাস্তি চেয়েছেন। কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি শিশুটির বাবার ও পরিবারের পক্ষ থেকে। এই নিয়ে বাগনান এবং আমতা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।