আমাদের দেশে করলা অন্যতম প্রধান সবজি। স্বাদে তিক্ত হলেও সকলের নিকট এটি প্রিয় সবজি হিসেবে পরিচিত।উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় করলা ভাল জন্মে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে পরাগায়ন বিঘ্নিত হতে পারে। সব রকম মাটিতেই করলার চাষ করা যেতে পারে। জৈব সার সমৃদ্ধ দো-আঁশ বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভাল জন্মে।
করলার অধিক ফলন পেতে হলে সারের সঠিক প্রয়োগ মাত্রা জানতে হবে। সঠিক পদ্ধতিতে করলা চাষে সার প্রয়োগ না করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় না। ফলে অনেক চাষিই করলা চাষে বিমুখ হন।
সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ মাত্রা:
সারের নাম মোট পরিমাণ
(হেক্টর প্রতি) মোট পরিমাণ (শতাংশ প্রতি) জমি তৈরির সময় (শতাংশ প্রতি) চারা রোপণের ৭-১০
দিন পূর্বে চারা রোপণের ১০-১৫
দিন পর চারা রোপনের ৩০-৩৫
দিন পর চারা রোপনের ৫০-৫৫
দিন পর চারা রোপনের ৭০-৭৫
দিন পর
পচা গোবর ২০ টন ৮০ কেজি ২০ কেজি ৫ কেজি – – – –
টিএসপি ১৭৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ৩৫০ গ্রাম ৩০ গ্রাম – – – –
ইউরিয়া ১৭৫ কেজি ৭০০ গ্রাম – – ১৫ গ্রাম ১৫ গ্রাম ১৫ গ্রাম ১৫ গ্রাম
এমপি ১৫০ কেজি ৬০০ গ্রাম ২০০ গ্রাম ২০ গ্রাম ১৫ গ্রাম
জিপসাম ১০০ কেজি ৪০০ গ্রাম ৪০০ গ্রাম – ১৫ গ্রাম
দস্তা সার ১২.৫ কেজি ৫০ গ্রাম ৫০ গ্রাম – –
বোরাক্স ১০ কেজি ৪০ গ্রাম ৪০ গ্রাম – –
ম্যাগনেশিয়াম ১২.৫কেজি ৫০ গ্রাম – ৫ গ্রাম –
অক্সাইড
।। লেখাটি সংগ্রহ করা হয়েছে।।