বিরল প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুড় বাস্কা।

0
345

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – বিরল প্রজাতির বাটাগুড় বাস্কা কচ্ছপ কে পুনরায় সুন্দরবনের জলে প্রতিস্থাপন করতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফ থেকে। সোমবার তার জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফ থেকে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ভিশন ২০৩০। আর এই সময়ের মধ্যে ১০০ টিরও বেশী বাটাগুড় বাস্কা কে ছাড়া হবে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীর জলে।

বাটাগুড় বাস্কা কে নিয়ে সুন্দরবনে কাজ নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে এই বিরল প্রজাতির কচ্ছপ কে নিয়ে। এই বাটাগুড বাস্কার প্রজনন বাড়াতে ইতিমধ্যেই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা। প্রতিটি বাটাগুড় বাস্কার দেহে বসানো হয়েছে আমেরিকা থেকে আনা আধুনিক প্রযুক্তির জিপিএস মেশিন।গত কয়েকদিন আগে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে ছাড়া হয়েছে বারোটি পূর্ণবয়স্ক কচ্ছপ এবং ৩৭০ টি বাচ্চা ।

সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্যাম্পে বিগত নয় বছর ধরে এই বিরল প্রজাতির বাটাগুড় বাস্কা কচ্ছপকে প্রজনন করাতে সক্ষম হয়েছে ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা। তাদের উপর এই সময় কাল ধরে চলেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্ব। প্রথম পর্বে সাতটি পুরুষ এবং তিনটি মহিলা কচ্ছপ নিয়ে শুরু হয় এই বাটাগুড় বাস্কা প্রজনন পর্ব।

এ বিষয়ে ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর তাপস দাস বলেন, মূলত সুন্দরবনের বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা বাটাগুড় বাস্কা কে প্রাকৃতিক উপায়ে ডিম থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করে তা সুন্দরবনের নদীতে ছেড়ে দিয়েই তাদের বংশবৃদ্ধি করাই হচ্ছে প্রাথমিক লক্ষ্য। শুধু তাই নয় এর ফলে যাহাতে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য বজায় থাকে তাও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। আর তার জন্যই ২০৩০ সাল কে লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে ধরা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ টি পূর্ণবয়স্ক বাটাগুড় বাস্কা কে ছাড়া হবে সুন্দরবনের জঙ্গলের নদীতে।