গাঁদা একটি অত্যান্ত জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত ফুল। এটি একটি শীতকালীন ফুল হলেও বর্তমানে এটি গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালেও চাষাবাদ হয়ে থাকে। গাঁদা ফুল বিভিন্ন জাত ও রঙের হয়ে থাকে। গাঁদা গাছ ও ফুলে ওষুধি গুণাগুণ আছে।
গাঁদা ফুলের বহু জাত থাকলেও প্রধানত দুটি জাতে ভাগ করা যায়। এ ফুলের চাষের জন্য এঁটেল দো-আঁশ মাটি বেশি উপযোগী।
বংশ বিস্তার: গাঁদা ফুলের বংশ বিস্তার বীজ বা কাটিংয়ের মাধ্যমে করা যায়।
গাঁদা ফুলের বোগবালাই: গাঁদা গাছ অনেক পোকা-মাকড়ের বিরেুদ্ধেই প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে বলে এতে পোকার উপদ্রব নেই বললেই চলে। তবে কিছু কিছু সময়ে কিছু আক্রমণ দেখা যায়।
ব্যবস্থাপনা: জমির পানি বের করে দেওয়ার ভাল ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেচ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন গাছের গোড়ায় কোনও ভাবেই পানি জমে না থাকে।
পোকামাকড়: গাঁদা ফুলের পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। গাঁদা গাছ অনেক পোকামাকড়ের বিরুদ্ধেই প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে।
ফুল সংগ্রহ: ফুল আকারে বড় হলে একটু লম্বা বোঁটা রেখে কাঁচি দিয়ে ফুল কাটাতে হবে। এতে ফুল বেশিক্ষণ তাজা থাকবে। ফুল সংগ্রহের জন্য সকাল বা বিকেল হলে ভালো হয়। কারণ ফুল সংগ্রহের জন্য ঠান্ডা আবহাওয়া ভাল।
ফলন: জাত, রোপণ দূরত্ব, সময়, সার প্রয়োগ প্রভৃতির উপর গাঁদার ফলন নির্ভর করে। ভালভাবে যত্ন নিলে আফ্রিকান গাঁদার একর প্রতি প্রায় ৪ হাজার ৫০০ শত থেকে ৭ হাজার কেজি এবং ফরাসী গাঁদার ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব।
।।সংগৃহীত।।