আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ লাবনী তন্তুরায়ের বাবা লালমোহন তন্তুরায় নিজেও অসুস্থ, হারিয়েছে কার্যক্ষমতা। বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি গোবিন্দধাম গ্রামের ভূমিহীন অসহায় পরিবার। মা লোকের বাড়িতে কাজ করে যেটুকু উপার্জন করে তা দিয়েই কোন মতে সংসার চলে। পরিবারের নিজস্ব পুঁজি বলতে যেটুকু ছিল তা দিয়েই কিডনি রোগে আক্রান্ত মেয়ে লাবনীর চিকিৎসা করেছে, মেয়েকে নিয়ে ছুটেছে বহু ডাক্তারের কাছে কিন্তু মেয়ের সুস্থতার লক্ষণ দেখা যায়নি। লাবনী যেহেতু নিজে কথা বলতে পারেনা এবং কিছু শুনতেও পায়না তাই নিজের সুস্থতার ব্যাপারে কিছু বলতেও পারেনা। বাবা মা মেয়েকে দেখে বোঝে মেয়ে সুস্থ হচ্ছে না বরঞ্চ ধীরে ধীরে সে আরো সংকটজনক অবস্থা দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখে তীব্র যন্ত্রণায় ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে বাবা-মাও ।
পারিবারিক উপার্জন যৎসামান্য যা দিয়ে সংসারই চলতে চায় না তারপর লাবনীর ঐ কঠিন রোগের চিকিৎসা কিভাবে হবে এই ভেবে হতাশাগ্রস্থ বাবা-মা।
মেয়েকে সুস্থ করতে গেলে চাই উন্নত চিকিৎসা এবং প্রচুর অর্থের যা এই নিঃস্ব পরিবারটির পক্ষে একেবারেই অসম্ভব,সম্ভব যদি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সরকার কিংবা কোন সহৃদয় ব্যক্তি পাশে এসে দাঁড়ান।
এটাও ঠিক এসব ক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই প্রশংসনীয় আবার পৃথিবীতে আজও এই রকম বহু সহৃদয় ব্যক্তি আছেন যারা বিপদগ্রস্ত যে কোন পরিবারের পাশে ঈশ্বরের দূত-এর মতো সামনে এসে দাঁড়ান।
এই নিঃস্ব পরিবারটির পাশে সেই রকমই একাধিক ব্যক্তিকে খুবই প্রয়োজন যাঁরা সব রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন হাসি মুখে।