বীরভূম, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গতকাল অর্থাৎ সোমবার শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। করোনাকালে একবছর পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর নতুন করে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে পরীক্ষার প্রথম দিনেই অঘটন ঘটে গেল বীরভূমে। বীরভূমের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন।
গলায় ফাঁস লাগিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা করার এমন ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাইকর থানার অন্তর্গত উত্তর রামচন্দ্রপুর গ্রামে। পরীক্ষা দিয়ে আসার পর মঙ্গলবার দ্বিতীয় ভাষা অর্থাৎ ইংরেজি পরীক্ষার আগে এইভাবে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা করার ঘটনা নিয়ে দানা বাঁধতে শুরু করেছে রহস্য।
পরিবারের সদস্যদের অনুমান, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা ভাষার পরীক্ষা খারাপ হয়েছে বলেই হয়তো সে এমন অন্তিম সিদ্ধান্ত বেছে নিয়েছে। তবে পরীক্ষা খারাপ নাকি মানসিক অবসাদের কারণে এমন ঘটনা ঘটানো ওই পরীক্ষার্থী তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মাধ্যমিকের প্রথম ভাষা অর্থাৎ বাংলা পরীক্ষার পর এমন আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ওই ছাত্রীর নাম হল মহিমা খাতুন (১৭)। ওই পরীক্ষার্থী মুর্শিদাবাদ লাগোয়া নয়াগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। এই বছর তার মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছিল হারুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে।
গতকাল অর্থাৎ সোমবার ওই পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে আসার পর বাড়ির সদস্যদের পরীক্ষা ভালো হয়নি বলে জানায়। এরপর খাওয়া-দাওয়া করে নিজের রুমে চলে যায় পড়াশোনার জন্য। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ যখন তাকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ডাকতে যান তখন দেখা যায় ওই ছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় পাইকর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে তাকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং আজ ওই ছাত্রীর ময়নাতদন্ত করা হবে রামপুরহাট গভারমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় এইভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
ছবি ও তথ্য-সুকান্ত রায়, বীরভূম ।