তিওয়ড় হোম কান্ডে মূল অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের সাজা দিল আদালত।

0
3046

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা:- তিওয়ড় হোম কান্ডে মূল অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের সাজা দিল আদালত। উল্লেখ যে ২০১৫ সালের ৩-রা আগস্ট দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলির তিওয়র ধীরেন মহন্ত চ্যারিটেবল সোসাইটির কর্ণধার দিলিপ মহন্ত-র বিরুদ্ধে আবাসিক হোমের ৬ জন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। যে ঘটনা চাউড় হতেই শুধু দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নয় তোলপাড় পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। যার পর হিলি থানার পুলিশ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দিলীপ মহন্ত সহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ দিনাজপুর বিচারালয়ে মামলা রুজু করে। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিচারালয়ে চলে ঐ মামলার শুনানি। আদালত সূত্রে খবর এই মামলায় ৫৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দান করেন। মঙ্গলবার এই মামলায় বিচারক ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দিলীপ মহন্ত সহ ঘটনায় সহযোগীতা করার অপরাধে ঐ আবাসিক হোমের তৎকালীন সুপার সাবিত্রি হেমব্রম এবং এটেনডেন্ট খুশি মন্ডল-কে দোষী সাব্যস্ত করে। যদিও এই মামলায় দিলীপ মহন্ত-র ২ জন গাড়ির চালক-কে প্রমাণাভাবে বেকুসুর খালাস দেন। এরপর বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিচারালয়ের এডিজে দ্বিতীয় কোর্টের বিচারক সুজাতা খর্গ এই মামলায় দোষীদের সাজা ঘোষণা করেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন এই মামলায় এদিন বিচারক মূল অভিযুক্ত দিলীপ মহন্ত-কে পকসো-র ৬নং ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন সঙ্গে ৩ লক্ষ টাকা ফাইন করেছেন, অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন বাকি দুইজন মহিলা আসামীদের সেকশন ৬/১৭ পকসো আইনে দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের সাজা দিয়েছেন এবং ৩০০০০ টাকা ফাইন করেছেন, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। এই মামলায় বিচারকের রায়দানের খবর চাউড় হতেই খুশি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ঘটনার মূল অভিযোগকারিনী। রায় ঘোষণার পর ঘটনার মূল অভিযোগকারিনী ভক্তি সরকার লাহা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন
আমি ৭ বছর ধরে বাড়িছাড়া, আমি শ্রমিকের কাজ করে পেট চালিয়েছি। তিনি বলেন আমি এটা ভেবে খুশি যে ও এতদিন পর হলেও সাজা পেয়েছে, আমার কষ্টটা সার্থক হয়েছে। অপরদিকে সাজা ঘোষনার পর সাধারণ মানুষদের বক্তব্য আইন কখনোই দূর্বল নয়, যেকোন অন্যায়ের প্রতিবাদ আইনগতভাবে করা উচিৎ।