পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বিষ খেয়ে আত্মঘাতী কৃষক!একদিকে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতি অন্যদিকে ঋণের বোঝা দুইয়ের মাঝে পড়ে আত্মঘাতী আলুচাষি, এমনই দাবি পরিজন থেকে গ্রামবাসীর,শোকের ছায়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার যদুপুর গ্রামে।চলতি মরসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দু দফায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আলুচাষে তার ওপরে ব্যাংক থেকে চাষের জন্য কয়েক হাজার টাকা লোন নিয়েছিলেন চন্দ্রকোনার যদুপুরের রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। চাষে ক্ষতির কারনে ব্যাংক থেকে বারবার নোটিশ দিলেও লোন পরিশোধ করতে পারেননি তিনি।যা ঘিরে দিনকয়েক ধরেই চরম মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন চন্দ্রকোনার এই কৃষক। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে বাড়ির অনতিদূরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।স্থানীয়দের নজরে আসে পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে,অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে স্থানান্তরিত করা হয় ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।চিকিৎসারত অবস্থাতেই বুধবার মৃত্যু হয় ষাটোর্ধ্ব ওই কৃষকের। পরিবারের সদস্যদের দাবি, দেনার দায়েই আত্মঘাতী হতে হল তাঁকে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।সূত্রের খবর, বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত হবে আত্মঘাতী কৃষকের। আত্মহত্যার পেছনে ঋণের বোঝা নাকি অন্য কোনো কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।কৃষক মৃত্যুর কথা গ্রামে পৌঁছতেই রীতিমতো শোকের ছায়া গোটা গ্রাম জুড়ে।