নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- সালিশি সভার মধ্যেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে তৃণমূল কর্মীর পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল স্থানীয় একাংশ সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম ওই তৃণমূল কর্মীর পরিবারের বাবা দুই ছেলেসহ চারজনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজে । মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে মোথাবাড়ি থানার পঞ্চনন্দপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বানুটোলা গ্রামে । এই ঘটনায় হামলাকারী সিপিএম কর্মী আরশেদ আলি, আব্দুল রহমান, সফিকুল শেখ, সেলিম জাহাঙ্গীর সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মোথাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর পরিবার। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তেরা । তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হামলার ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন ইসরাইল শেখ (৬০), তার দুই ছেলে মহসিন শেখ (২৪), হাসেন শেখ (২৭) এবং তাদের এক আত্মীয় ইসু শেখ। এদিন রাতে বানুটোলা গ্রামের একটি মসজিদের বিদ্যুতের মিটারের সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সালিশি সভা বসেছিল। আর সেই সালিশি সভায় তৃণমূল কর্মীর পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা বলে অভিযোগ।এবিষয়ে সিপিএমের তরপে কোন প্রতীক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী হাসেন শেখ পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছেন, এলাকার একটি মসজিদে গ্রামেরই এক ব্যক্তির নামে বিদ্যুতের বিল আসছিল। কিন্তু মসজিদের নামে বিদ্যুতের বিল আসার ব্যাপারে এদিনের এই সালিশি সভা বাঁকা হয়ে। কিন্তু যারা এব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন সেই আরশাদ আলি, নজরুল শেখ, আব্দুর রহমান , মাসুদ শেখরা নানা অজুহাতে আপত্তি জানাতে থাকে। ওদের পরিকল্পনা ছিল মসজিদের জায়গা দখল করার। আর তারই প্রতিবাদে এদিন সালিশি সভা করা হয়েছিল। সালিশি সভার মধ্যে যে ওরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সামিল হয়েছিল সেটা আমাদের জানা ছিল না। সভা চলাকালীনই অভিযুক্তদের দাবির বিষয়ে প্রতিবাদ করতেই আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা দুই ভাই, বাবাএবং কাকা গুরুতর জখম হয়।
পঞ্চনন্দপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সাইফুদ্দিন শেখ জানিয়েছেন , দলের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। যারা এই কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি আমরা পুলিশের কাছে করেছি।
মোথাবাড়ি থানার পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তেরা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
ছবি ———– আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।