দিনহাটায় দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যদের, তলবিসভার দিন ঘোষণা প্রশাসনের।

0
393

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত দিনহাটার বড় শৈলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা নিয়ে তলবি সভার দিন ঘোষণা করল ব্লক প্রশাসন। আগামী ২২ মার্চ ওই তলবি সভা হতে চলেছে। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন সদস্য বর্তমান বিউটি বর্মণের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা নিয়ে আসে। দলীয় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্যেও কেন অনাস্থা? সেই প্রশ্ন তুলে দলের তৎকালীন জেলা সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মণের মাথাভাঙ্গার বাড়ি ও কোচবিহারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতেও দেখা যায় বিউটি বর্মণ ও তাঁর অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যদের।
সম্প্রতি এনিয়ে বড় শৈলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ৭ মাসের গর্ভবতী প্রধান বিউটি বর্মণকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। সাথে সাথে তাঁকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। এই পরিস্থিতির মধ্যেও শেষ পর্যন্ত অনাস্থা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের দলীয় নেতৃত্ব বোঝাতে ব্যর্থ হওয়ায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে তলবি সভার দিন তারিখ ঘোষনা করল ব্লক প্রশাসন।
দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বড় শৈলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত মূলত সিতাই বিধানসভার অন্তর্গত। সেখানে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা নিয়ে প্রধান বদল করে সিতাই বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া অনুগামীরা। এরপরেই জগদীশ বসুনিয়া বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় বর্মণের বিরুদ্ধে বড় শৈলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের একটি অংশকে দিয়ে ওই অনাস্থা নিয়ে আসার অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির বিরোধ কার্যত প্রকাশ্যে চলে আসে। তারপরেও ওই অনাস্থা ঠেকানো সম্ভব হয় নি বলে মনে করা হচ্ছে।