নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: স্টেশন থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় নাবালককে উদ্ধার করল পুলিশ। আপাতত সেই নাবালককে পুলিশের কাছে রাখা হয়েছে। সঠিক ভাবে কাউন্সেলিং করে তার ঠিকানা জেনে তার বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। যদিও নাবালক ছেলেটি জানিয়েছে তার বাবা নেই দাদার সঙ্গে ঝগড়া করে সে চলে এসেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তার খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং নতুন জামা কাপড় দেওয়া হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় ওই নাবালকের নাম গনেশ বিশ্বাস(১১)। মালদা জেলা হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মিলনগড় স্টেশনে ওই নাবালক কে একা একা ঘুরতে দেখে পুলিশ। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে সে নবদ্বীপ থেকে ট্রেনে করে এসেছে। পরণে ছিল ছেড়া জামা কাপড়। তাকে সাথে সাথে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সে তার বাড়ির যে ঠিকানা বলছে নবদ্দীপ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক ভাবে সেই ঠিকানা পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের পক্ষ থেকে নাবালকটি কে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে পাঠানো হবে। সেখানে কাউন্সেলিং করে সঠিক ঠিকানা জেনে নাবালকটি কে তার বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে মানবিক রূপ দেখা গেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের। মহিলা সিভিক পুলিশ কর্মীরা নাবালকটির যত্ন নিচ্ছে। তাকে খাওয়া দাওয়া দেওয়া হয়েছে, সাথে দেওয়া হয়েছে নতুন জামা কাপড়। সবকিছু পেয়ে প্রচণ্ড খুশি ওই বাচ্চা ছেলেটি। সে জানাচ্ছে সে আর বাড়ি ফিরতে চাই না এখানেই থেকে যেতে চাই।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সেকেন্ড অফিসার রামপ্রসাদ চাকলাদার বলেন, আজ দেড়টা নাগাদ ফোন আসে মিলন করে স্টেশনে একটি বাচ্চা ছেলে ঘোরাফেরা করছে। আমরা সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করি। সে তার বাড়ির ঠিকানা যেখানে বলছে সেখানে যোগাযোগ করে আমরা সঠিক ঠিকানা পাচ্ছি না। বাচ্চাটিকে তাই চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি কাছে দেওয়া হবে। তারা সঠিক কাউন্সেলিং করে সমস্ত কিছু ব্যবস্থা করে দেবে। আজ তার খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে জামা-কাপড় সব পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।
গনেশ বিশ্বাস নামে নাবালক বলে,” আমার বাবা নেই দাদার সঙ্গে ঝগড়া করে ট্রেনে উঠে গেছিলাম। বাড়ি নবদ্বীপে। এই স্টেশনে নামে। সেখান থেকে পুলিশ আমাকে নিয়ে আসে। আমাকে স্নান করিয়ে নতুন জামা কাপড় দিয়ে খেতে দিয়েছে। তাই আমার বাড়ি যেতে ইচ্ছা করছে না, এখানেই থাকব।
আপাতভাবে বাচ্চাটির কথা শুনে মনে হচ্ছে সে অনাথ। হয়তো তার বাড়িতে সঠিক ভাবে খাওয়া থাকার ব্যবস্থা নেই। তাই পুলিশের কাছ থেকে যত্ন পেয়েছে সে খুব খুশি। থেকে যেতে চাইছে পুলিশের কাছেই। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশের যে এই মানবিক রূপ তার প্রশংসা করছে সকলে।