উঃ দিনাজপুর, রাধারানী হালদারঃ- আধার কার্ড দোকানের আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল নতুন আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনের কাজ।
উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ মালগাও গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবঘাটায় একটি বইয়ের দোকানের আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল নতুন আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনের কাজ।
বেশি টাকার বিনিময়ে নতুন আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনের অভিযোগ পেয়ে ওই বইয়ের দোকানে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সরকারি অনুমোদন না নিয়েই বইয়ের দোকানে বসেই আধারের কার্ডের মত গুরুত্বপূর্ণ নথির যাবতীয় কাজ করছিল দুই যুবক। অনুমোদন না থাকায় ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত ওই দুই যুবককে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আধার সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ব্যায়োমেট্রিক ডিভাইস সহ বেশ কয়েকটি আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করে কালিয়াগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম অরুন দেবশর্মা ও নবকুমার সরকার। অরুনের বাড়ি মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের পালয়বাড়ি গ্রামে। নবকুমারের বাড়ি ওই পঞ্চায়েতের বিজলি গ্রামে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অসমের কোন আধার সংশোধন কেন্দ্রের আইডি ব্যবহার করে ওই দুজনে মিলে মালগাঁও পঞ্চায়েতের সাহেবঘাটায় অবৈধভাবে কারবার চালাচ্ছিল। অসমের কোন আধার সেন্টারের আইডি ব্যবহার করে তাঁরা আধার সংশোধনের কাজ করছিল এব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কালিয়াগঞ্জ থানার ভার প্রাপ্ত আধিকারি দীপাঞ্জন দাস বলেন, ধৃতদের রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
অভিযুক্ত নবকুমার জানায়, আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনের কাজের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে তাঁরা অপরিচিত এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই অপরিচিত ব্যক্তিই টাকার বিনিময়ে আধার সংক্রান্ত কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট সাইটটি খুলে দেয় তাঁদের। অরুনের বইয়ের দোকানে বসেই নতুন আধার তৈরি ও সংশোধনের কাজ করত তাঁরা। প্রতিটি আধার সংক্রান্ত কাজের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান টাকাও ওই ব্যক্তিকে দিতে হত বলে জানায় নবকুমার।