আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বছর ২৪ এর তাজা যুবক গত তিন বছর ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের লছমনপুর গ্রামে বাস করে সৌভাগ্য দে।পরিবারের অভাবের তাড়নায় ডাম্পারের সহ চালকের কাজ করত দুর্লভপুর D.T.O.A এর গাড়িতে। কিন্তু হঠাৎ একদিন ছাই বোঝাই ডাম্পার নিয়ে গিয়ে ছোরা কলিয়ারিতে খালি করছিল, সেই সময় পাশের একটি গাড়ি খালি করতে গিয়ে তার গাড়ির কেবিনের উপর উল্টে যায়। সেই গাড়িতে হেল্পারের কাজে নিযুক্ত ছিল সৌভাগ্য। গাড়িটি উল্টে যাওয়ার ফলে কেবিনের ভিতরে সে চাপা পড়ে, ঈশ্বরের কৃপায় প্রাণে বাঁচলেও স্পাইলাল কডে আঘাত লাগে। সেই সময় বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য গেলেও সে আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। বিছানায় একইভাবে রয়েছে তিন বছর ধরে। নিজের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনদের উপর সম্পুর্ন নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে আছে সৌভাগ্য। চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিবারের যা কিছু ছিল সব বিক্রি করতে হয়েছে। বর্তমানে ডাক্তারবাবুরা তার চিকিৎসার জন্য চেন্নায়ে যেতে বলেছেন। সৌভাগ্যের বাবা এক মিষ্টির দোকানে কাজ করে। স্বাভাবতই নুন আনতে পান্তা ফুরায় পরিবার সৌভাগ্য দের, চেন্নায় গিয়ে চিকিৎসার জন্য বিপুল পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন।এত অর্থ পাবে কোথায়। সৌভাগ্য এর আবেদন একটু আমার পাশে দাঁড়ান।আসুন না আমরা সবাই সৌভাগ্য এর পাশে দাঁড়ায়।