নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর:- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে মহিলা খুনের ঘটনায় ৩ দিনের মধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান ,
৯ মার্চ দাসপুরের কলোড়া এলাকায় কাঁসাই নদী থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গলা কেটে খুন করে বস্তায় ভরে পাথর দিয়ে নদীতে ফেলা হয়।
পরের দিন তাঁর স্বামী চিত্তরঞ্জন দাস তাঁর স্ত্রী উর্মিলা দাসের (৫৮) মৃতদেহ শনাক্ত করেন । তাঁদের বাড়ি দাসপুর থানার নবীন মানুয়া গ্রামে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে কেশপুরের শেখ মহিদুল ইসলাম পাওঁরুটি ফেরি করত। দাসপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। সে ঘটকের কাজ করত। খুন হওয়া উর্মিলা দাস নাতনির জন্য পাত্র খুঁজছেন জানতে পেরে তাঁর সঙ্গে ভাব জমায়। কয়েক জায়গায় পাত্রের বাড়িতে নিয়েও যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার সঙ্গে বেরিয়ে আর তিনি বাড়ি ফেরেননি ।
এদিকে বুধবার ভোর রাতে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে কেশপুরে চলে যায় মহিদুল। খুনের দিন তার সঙ্গে ছিল শেখ শামিম আহমেদ ও সাগর খাঁন। তারা দুজনে মেদিনীপুর লাগোয়া ধর্মা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত।
পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার জানান , মহিলার গায়ে থাকা সোনার গয়নার লোভেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার মূল চক্রী সহ তিন জনকেই শনিবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহার হওয়া ভোজালি ও বেশ কিছু সোনার গয়না।
এদিন ধৃতদের ঘাটাল মহাকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ৭ দিনের পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। খুনের তিন দিনের মাথায় অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করায় পুলিশ বড় সাফল্য পেয়েছে বলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা দাসপুরে মহিলা খুনে সাফল্য পুলিশের ঘটনার ৩ দিনের মধ্যেই গ্রেপ্তার মূল চক্রী ।