পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম শহীদ দিবসের দিনে দুই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা নন্দীগ্রাম এলাকায়, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশাল পুলিশবাহিনী, সূত্রের খবর নন্দীগ্রাম শহীদ দিবসের দিনে সকাল বেলায় মাল্যদান এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা, যেখানে উপস্থিত ছিলেন কুনাল ঘোষ এবং দোলা সেন সহ অন্যান্য তিন নেতা কর্মীরা, এরপর নন্দীগ্রামে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করতে উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রথমে অধিকারী পল্লীতে এবং পরে গোকুলনগরে। শহীদ বেদী গঙ্গা জল দিয়ে পরিষ্কার করে
নন্দীগ্রামের শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়িয়া ও গোকুলনগরে ১৪ মার্চ শহীদ দিবসে হাজির স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শহীদ দিবস পালনে শহীদ বেদীতে মাল্যদান নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে। শহীদ দিবস পালনের জন্য নন্দীগ্রামে ভাঙ্গা বেড়াতে মঞ্চ করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। পাল্টা শহীদ দিবস পালনের জন্য নন্দীগ্রামের অধিকারী পাড়াতে মঞ্চ করা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। শহীদ দিবস পালন নিয়ে একটা উত্তেজনার আচ ছিল আগে থেকেই নন্দীগ্রামের প্রশাসন। সেইমতো শাসকদল অর্থাৎ তৃণমূলকে সময় দিয়েছিল প্রথমার্ধে অর্থাৎ দুপুর একটা পর্যন্ত। দুপুরের পর বিজেপির পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে মাল্যদানের নন্দীগ্রামের প্রশাসনের নির্দেশে ছিল । সেইমতো বিজেপির পক্ষ থেকে মাল্যদান করতে এলে শুরু হয় তুমুল গোলমাল ও উত্তেজনা।
নন্দীগ্রাম শহীদ দিবস ঘিরে উত্তেজনা,গকুলনগর সহিদ বেদি থেকে মালা খুলে নেওয়ার অভিযোগে আবারও উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম,অভিযোগ সহিদ বেদীতে তৃণমূল কংগ্রেস মাল্যদান করেন,এর পরেই বিজেপির সেই সহিদ বেদীতে মাল্যদান এর কথা ছিল ,সেই মত বিজেপি সমর্থকরা বেদি গঙ্গা জল দিয়েপরিষ্কার এর সময়ে তৃণমূল এর মালা খুলে ফেলাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয় ,বিজেপি সমর্থক দের অভিযোগ নির্ধারিত সময়ের পরেও তৃণমূল সমর্থকরা সেই জায়গায় মদ্যপ অবস্থায় গন্ডগোলের সূত্রপাত ঘটায়।নন্দীগ্রামের শহীদ দিবসে মাল্যদান নিয়ে দুপুর গড়াতেই তুমুল উত্তেজনা দেখা গেল তৃণমূল বিজেপির মধ্যে। ঘটনাস্থলে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ও বিশাল পুলিশবাহিনী পাশাপাশি নামানো হয়েছে রেফ, অন্যদিকে এইদিন শুভেন্দু অধিকারী কে গো ব্যাক প্লাকার্ড নিয়ে জমায়েত করতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের, তবে এই উত্তেজনার মাঝে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জয়ী কাউন্সিলারের খুনের ঘটনা নিয়ে তিনি রাজ্য সরকারের আইনি ব্যবস্থার উপর আঙুল তুললেন শুভেন্দু অধিকারী, তিনি বলেন একজন কাউন্সিলরের যদি এই রকম অবস্থা হয়ে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপত্তা পাবেন, পাশাপাশি একাধিক বিষয় নিয়ে বর্তমান রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা নন্দীগ্রাম শহীদ দিবসের দিনে দুই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা,মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী।