সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – সোমবার ছিল মাধ্যমিকের অংক পরীক্ষা। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল।কয়েক ঘন্টা পরীক্ষা চলার পর হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে তিন ছাত্রী। ক্যানিংয়ের দ্বারিকানাথ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী শ্রাবন্তী দাস। তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল তালদির সুরবালা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়।অন্যদিকে ট্যাংরাখালি পরশুরাম যামিনীপ্রাণ হাইস্কুলের ছাত্রী সুদীপ্তা নস্কর,তার মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল তালদি মোহনচাঁদ হাইস্কুল। আবার ক্যানিংয়ের রায়বাঘিনী হাইস্কুলের দীপিকা নস্করের পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল ট্যাংরাখালি পরশুরাম যামিনীপ্রাণ হাইস্কুল।পরীক্ষা চলাকালীন আচমকা তিন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে। পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পর্ষদের কর্মীরা তড়িঘড়ি ওই তিন ছাত্রী কে উদ্ধার করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। যদিও সুদীপ্তা নস্কর ও দীপিকা নস্কর নামে দুই ছাত্রী সামান্য সুস্থবোধ করে পরীক্ষা দেওয়ার আর্জি জানালে তাদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন দায়িত্বে থাকা পর্ষদের কর্মীরা।
পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পর্ষদের এককর্মী মানস পানিগ্রাহী জানিয়েছেন ’অসুস্থ ছাত্রীদের কে প্রথমে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে সুদীপ্তা নস্কর ও দিপীকা নস্কর নামে দুই ছাত্রী পরীক্ষা দেওয়ার আর্জি জানালে তাদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।আমরা আগাম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং খাতা সাথে রেখেছিলাম। যাতে করে সময় নষ্ট না হয়।’
অন্যদিকে চিকিৎসকদের তৎপরতায় দুই ছাত্রী প্রাথমিক ভাবে সুস্থবোধ করে হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দেওয়া প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ অপূর্বলাল সরকার জানিয়েছেন ‘হাসপাতালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসক,নার্স দিদিরা অত্যন্ত তৎপর। যারফলে এমনটাই সম্ভব হয়েছে।’