নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- প্রায় দু বছর বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা মাধ্যমিক, তাও ছিল বন্ধ। অবশেষে এবছর গত ৭ ই মার্চ থেকে মাধ্যমিক শুরু হওয়া পরীক্ষা আজ শেষ হলো। বিকেল তিনটের স্কুলের ঘন্টার শব্দ জানান দিলো। দীর্ঘদিন একসাথে পড়াশোনা করা মান অভিমান ঝগড়া খুশির বন্ধুত্ব আবারো ছেদ পড়বে বেশ কিছুদিনের জন্য। বিভিন্ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কারণে
অনেকের সাথে আবার বন্ধুত্ব অনিয়মিত হয়ে পড়বে। একদিকে বিরহ অন্যদিকে পড়াশোনা সংক্রান্ত টানা বেশ কয়েক মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিশ্রাম। তাই স্কুলের প্রাঙ্গণ পেরিয়েই ফোনে সেলফি তোলা, আসন্ন দোল উৎসবের রং মাখা এভাবেই খুশীতে মাতলো ছাত্রছাত্রীরা। সেই চিত্র উঠে এলো শান্তিপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয় গুলি থেকে আমাদের ক্যামেরায়। এ বছর তো শেষ হলো মাধ্যমিক পরীক্ষা, আগামী বছরেও কি সময় মত মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা এখন শুধু তার সময়ের অপেক্ষা। কারণ গত দু’বছরে করোনা যেভাবে চোখ রাঙিয়ে ছিল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব, স্কুল কলেজের গেটের সামনে ঝুলেছিল টানা দু’বছর তালা। চিকিৎসক মহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এই অতি মারি যুদ্ধে। শুধু একবার নয় করোনা চোখ রাঙিয়ে ছিল দু-দুবার, তবুও হার মানতে নারাজ চিকিৎসা মহল অক্লান্ত পরিশ্রমের কাছে হার মানতে হয়েছে করোনা কে। এখন অনেকটাই শিথিল, তাই আবারও স্কুলের তালাখুলাতে পরীক্ষা দিতে পারল মাধ্যমিক পড়ুয়ারা। তবে করোনার চোখরাঙানি থেকে নিজেদের সুরক্ষা রাখার একটাই তাবিজ একমাত্র সচেতন হওয়া। তাহলে আগামী বছরগুলোতে আর হয়তো করোনার চোখ রাঙানির সহ্য করতে হবে না। মুক্ত হবে বিশ্ব, মুক্ত হবে ভারত, আবার সংক্রমণমুক্ত পরিবেশ গড়তে সকলেই সক্ষম হবে।