হোলির উৎসব কে পেছনে ফেলে পরিবেশের বার্তা নিয়ে ফুলিয়া থেকে দৌড়ে দার্জিলিং, সাত বন্ধু পেছনে ছুটলো সাইকেল নিয়েই।।

0
1900

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- খেলার মাঠেই ঘনিষ্ঠতা রূপ নেয় প্রগাঢ় বন্ধুত্বে। হোলির রঙিন তারুণ্য পেছনে ফেলে পরিবেশের তাগিদে স্পোর্টস স্পিরিট নিয়ে নদীয়ার ফুলিয়ার আটজন বন্ধুর দল ছুটলো দার্জিলিং এর পথে। যার মধ্যে মহিতোষ ঘোষ পায়ে দৌড়ে এবং দীপঙ্কর গোপাল সুরজিৎ সমিরন অজয় সুজিত প্রলয় বাকি সাত বন্ধু সাইকেল নিয়ে ছুটে চলল বন্ধুত্বের পেছনে। প্রত্যেকেরই উদ্দেশ্য এক। নেশামুক্ত জীবন গড়ে তুললে নিয়মিত শরীরচর্চা, জল মাটি বায়ু সব ধরনের পরিবেশ দূষণ থেকে পৃথিবী কে রক্ষা করা এবং গাছ লাগানো এবং নিরাপদে যানবাহন চালানোর বার্তা নিয়ে তারা যাত্রাপথে বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট ছড়িয়ে পথের পাশে ছোট ছোট সেমিনার করে এগিয়ে চলবে।
ফুলিয়া শিক্ষানিকেতন মাঠে থেকেই তাদের বন্ধুত্ব, আর আজ যাত্রা শুরু হল সেখান থেকেই। সকলেই চাকদহ কলেজের ছাত্র, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তানা বেশ কয়েকদিন কলেজে উপস্থিত না থাকতে পারার কারণ নিয়ে। আজ রওনা হওয়ার সময়, উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সেনাবাহিনীর সংগঠনের সদস্যরা এবং স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উৎপল বসাক। তিনি তার পঞ্চায়েত ফুলিয়া টাউনশিপ নামাঙ্কিত গেঞ্জি তুলে দেন তাদের হাতে। শুভ এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়ে তিনি
বলেন প্রশাসনিকভাবে তাদের যাত্রাপথ যাতে সুপ্রশস্ত হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখব।
অন্যদিকে বিভিন্ন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ এবং প্রচলিত সাধারণ মানুষ তাদের শুভকামনা জানান।
একমাত্র পায়ে দৌড়ে দার্জিলিং পৌঁছানোর মহিতোষ ঘোষ জানান, এর আগেও একবার আমাদের বন্ধুত্ব পৌঁছে ছিলো দিঘাতে। লাগেজ এবং শুকনো খাবার নেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যোগাযোগ হয়েছে পথের মাঝে তাদের সহযোগিতা নেওয়া যাবে। তবে রৌদ্র প্রখর হওয়ার কারণে দুপুরের দিকটা বিশ্রাম নিয়ে সারারাত এবং সকাল বিকাল গন্তব্যে পৌঁছানোর কাজে লাগাবো।