নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- হাজার বছরের প্রাচীন বিগ্রহ দেবতা বিশেষ তিথিতে পঞ্চম দোল উপলক্ষে পুজো হয়ে আসছে প্রায় ২০০ বছর ধরে। হাজার বছরের ইতিহাসে এই রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহ দেবতার নাম জ্যাঠা জেঠি নামে প্রচলিত হয়ে আসছে। পঞ্চম দোল উপলক্ষে শান্তিপুর নতুন পাড়ার দোল উৎসবে এই বিগ্রহ দেবতা পূজিত হয়ে থাকে। প্রত্যেক বছরই এই বিগ্রহ দেবতার পূজাকে কেন্দ্র করে মন্দির প্রাঙ্গনের চারপাশে শয়ে শয়ে মেলা দোকানিরা পসরা নিয়ে বসে। বিগ্রহ দেবতা দর্শনের জন্য শান্তিপুর তো বটেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষের সমাগম হয়। জানা যায়, পঞ্চম দোল উপলক্ষে এই দোল উৎসবের নাম দেব দোল। শান্তিপুরের বিভিন্ন গ্রন্থাগারে এই বিগ্রহ দেবতার ইতিহাস রয়েছে যা শান্তিপুরের অনেক মানুষের কাছেই অজানা। এই বিগ্রহ দেবতা বেল কাঠের তৈরি ১২ বছরে একবার এ বিগ্রহ দেবতার অঙ্গরাগ করা হয়। পুজো উদ্যোক্তারা জানান, শান্তিপুরের যত বিগ্রহ ঠাকুর আছে তাদের থেকেও সবথেকে প্রাচীন এই বিগ্রহ দেবতা, তাই এই বিগ্রহ দেবতার নামকরণ হয়েছিল জ্যাঠা জেঠি, সেই থেকেই এই নামে পরিচিত। পঞ্চম দোল উপলক্ষে এই বিগ্রহ দেবতার পূজা উপলক্ষে এক মিলন উৎসব এর চেহারা নেয়, জাতি ভেদাভেদ ভুলে মেতে ওঠে সকলেই। ৩ দিনব্যাপী এই মেলা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয় পঞ্চম দোল উৎসব। গত দু’বছর করোনা আবহের কারণে বিগ্রহ দেবতার পুজো হয়ে থাকলেও পুজো উদ্যোক্তারা মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেননি। এ বছর একটু শিথিল হতেই ধুমধামের সাথে পালিত হলো পঞ্চম দোল উৎসব এবং বিগ্রহ দেবতার পূজার্চনা। পঞ্চম দোল উপলক্ষে এই বিগ্রহ দেবতার দর্শনের জন্য এসেছিলেন শান্তিপুরের নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক কিশোর গোস্বামী। শান্তিপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত পৌর পিতা সুব্রত ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিক, এবং এলাকারই নবনির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাস। প্রত্যেকেই উপস্থিত হয়ে বিগ্রহ দেবতার চরণে আবির ছড়িয়ে দিলেন, এরপর দর্শন করলেন বিগ্রহ দেবতাকে।