নদীয়া,নিজস্ব সংবাদদাতা:- পনের টাকা না দেওয়ায় এবং কন্যা সন্তান হওয়ায় এক গৃহবধূকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করে বাড়ি থেকে বের করে দিল সরকারি চাকরিজীবী স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার বাগআঁচড়া বাজার এলাকায়। জানা যায় ৩ বছর আগে শান্তিপুর থানার বাগআঁচড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা যুবতী মালবিকা ঘোষের সঙ্গে ভালোবাসা করে বিয়ে হয় ওই এলাকারই যুবক মানস ঘোষের। অভিযোগ কয়েক মাস পর থেকে পণ্যের দাবীতে ওই গৃহবধূর ওপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার শুরু করে তার স্বামী এবং শাশুড়ি। একাধিকবার মেরে ফেলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ গৃহবধূর। এক বছর আগে তার একটি কন্যা সন্তান হয়। কেন পুত্রসন্তান হলো না এই প্রশ্ন করে অত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কয়েকবার বাবার বাড়ি চলে যাই ওই গৃহবধূ। কিন্তু বুঝিয়ে-শুনিয়ে আবার স্বামী তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। কন্যা সন্তান হওয়ার পর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় এবং তাকে কয়েকবার মেরে ফেলার চেষ্টা করে তার স্বামী এবং শাশুড়ি। গতকাল তাকে পুনরায় বেধড়ক মারধর কোরে এক বছরের কন্যা সন্তানটিকে জোর করে রেখে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় ওই গৃহবধূকে। প্রশ্ন উঠছে সরকারি চাকরি করার পরেও পণের দাবিতে এবং কন্যা সন্তান হওয়ায় গৃহবধূকে কিভাবে অত্যাচার করতে পারে তার স্বামী। অবশেষে শুক্রবার ওই গৃহবধূ এবং তার পরিবারের তরফ থেকে শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। গৃহবধূ মালবিকা ঘোষ এবং বাবা অমিত কুমার ঘোষ চাইছেন তারা যাতে ওই কন্যা সন্তানটি নিজেদের হেফাজতে ফিরে পান এবং স্বামী এবং শাশুড়ির শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।