সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রতিটি থানা কে নির্দেশ দিয়েছিলেন দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বেআইনি বোমা অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য।এমনকি কোন দুষ্কৃতি কারোর অঙ্গুলি হেলনে ছাড়ও যেন না পায়। মুখ্যমন্ত্রীর এমন নির্দেশ পেতেই নড়েচড়ে বসে বিভিন্ন থানার পুলিশকর্তারা। উদ্যোগ গ্রহণ করেন এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য।
শুক্রবারে রাতে বাসন্তী থানার পুলিশ গোপন সুত্রে খবর পায় ,থানা এলাকার কৃষ্ণানগর বটতলা এলাকা এক দুষ্কৃতি ঘোরাফেরা করছে।খবর পাওয়ার মুহূর্তে বাসন্তী থানার আইসি আব্দুর রব খানের নির্দেশে এসআই ইন্দ্রজিত ভকত এর নেতৃত্বে একটি পুলিশ টীম ঘটনাস্থলে হাজীর হয়।সেখানেই সুবিদ আলি নামে এক ব্যক্তিকে ধরে জিঞ্জাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।কোন সদুত্তর না পেয়ে তার দেহে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশির সময় পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়।ওই ব্যক্তি জামা খুলতেই বেরিয়ে পড়ে একটি দেশজ বন্দুক ও এক রাউন্ড কার্তুজ।অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাখার অপরাধে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে বাসন্তী থানার পুলিশ।
ধৃত কে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রের খবর কয়েক মাস আগেও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই দুষ্কৃতির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেই সময় ওই ব্যক্তি কোন ক্রমে বাড়ি হতে বের হয়ে পুলিশের নাগাল থেকে ছুটে পালিয়ে যায়।সেই সময় তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশজ লম্বা একনলা বন্দুক ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছিল বাসন্তী থানার পুলিশ।সে সময়ও ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় পুলিশ তার টিকি খুঁজে পাচ্ছিল না। এদিন ধরা পড়ায় স্বঃস্তি পায় বাসন্তী থানার পুলিশ।পুলিশ সুত্রে আরো জানা গিয়েছে ধৃত ব্যক্তি এলাকায় নানান ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত।গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।